ঢাকা শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ১৯ বৈশাখ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে চাঞ্চল্যকর ফল ব্যবসায়ী মো. সাইদুর রহমান হত্যা মামলায় তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (১ম আদালত) আয়েশা আক্তার সুমি এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন—বাঞ্ছারামপুর উপজেলার চর-শিবপুর গ্রামের কবির মিয়ার ছেলে কাজল মিয়া (৪৯), একই উপজেলার বাহেরচর গ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে রিপন মিয়া (৩২) ও নজরুল ইসলামের ছেলে রাসেল মিয়া (৩০)।

রায় ঘোষণার সময় রিপন মিয়া ও কাজল মিয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন, তবে রাসেল মিয়া এখনো পলাতক রয়েছেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার বাহেরচর লঞ্চঘাট এলাকার মেঘনা নদী থেকে ব্যবসায়ী মো. সাইদুর রহমানের লাশ উদ্ধার করা হয়। এর একদিন আগে তিনি নিখোঁজ হন। নিহত সাইদুর রহমান উপজেলার বাহেরচর গ্রামের আবদুল মালেকের ছেলে এবং করইকান্দি ফেরিঘাট এলাকায় ফলের ব্যবসা করতেন।

এ ঘটনায় নিহতের ভগ্নিপতি লোকমান মিয়া ১ অক্টোবর বাঞ্ছারামপুর থানায় রাসেল মিয়াকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্তে পুলিশ রিপন মিয়া ও কাজল মিয়ার সংশ্লিষ্টতা পেয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।

বাঞ্ছারামপুর থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিন চৌধুরী তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন, যেখানে তারা জানান, পাওনা ২০ হাজার টাকা না পেয়ে তারা সাইদুর রহমানকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করেন।

সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তিনজনকেই মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন।

মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আওলাদ হোসেন ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আজাদ মিয়া বলেন, "এই রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।"

অন্যদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোশারফ হোসেন সামি বলেন, "আমরা রায়ে সংক্ষুব্ধ, উচ্চ আদালতে আপিল করবো।"

মৃত্যুদণ্ড
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত