ঢাকা শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২ বৈশাখ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

অটোরিকশা ছিনতাই করতেই চালক পলাশকে হত্যা

অটোরিকশা ছিনতাই করতেই চালক পলাশকে হত্যা

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার আতাহার এলাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ছিনতাই করতেই চালক পলাশ হালদারকে হত্যা করা হয়। পরে অটোরিকশাটি ভাঙারি ব্যবসায়ীর কাছে ৩৯ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন হত্যাকারীরা। এ ঘটনায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানা ও গোয়েন্দা পুলিশের যৌথ অভিযানে ৪ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম।

গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন- রাজশাহীর তানোর থানার কলমা গ্রামের একরামুল হকের ছেলে মো. রকি (৩২) ও রাজশাহী নগরীর মতিহার থানার কাজলা এলাকার মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে মো. জনি (২৪)। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার হন ছিনতাই হওয়া অটোরিকশার ক্রেতা তানোর থানার তালন্দ বাজারের মৃত ফয়জুদ্দিন মন্ডলের ছেলে মো. জুয়েল (৪০) ও নওগাঁর মান্দা থানার চৌবাড়ীয়া পশ্চিমপাড়ার আঃ রশিদের ছেলে সানোয়ার হোসেন(২৪)।

পুলিশ সুপার জানান, শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নের নয়ানগর এলাকার একটি সরিষাখেতে পলাশের মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে। তার গলায় মাফলার প্যাঁচানো ছিল। পলাশ হালদার সদর উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের কালীনগরের শ্রী লাকফর হালদারের ছেলে।

পুলিশ সুপার আরও জানান, অটোরিকশাটি ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে পলাশ হালদারকে তারা হত্যা করেছেন। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ১২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় পলাশের অটোরিকশাটি ভাড়া করেন খুনিরা। আসামিরা ভিকটিম পলাশের পূর্বপরিচিত ছিল। প্রথমে তারা অটোরিকশাচালককে বাংলা মদ খাইয়ে মাতাল করে। একপর্যায়ে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে সরিষা ক্ষেতের ভেতর ফেলে অটোরিকশাটি নিয়ে চলে যান। এরপর সেটি পৃথক দুটি ভাঙারির দোকানে ৩৯ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আরও জানান, গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় রোববার রাতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে চার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। একজন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে চান। আজ সোমবার গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে উপস্থাপন করা হবে।

ছিনতাই,হত্যা
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত