নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী পারভীন আক্তার এবং তার স্বামী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি আবদুল হাই মুরাদ-কে অগ্নিসংযোগের মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) নোয়াখালীর ২নং আমলী আদালতে জামিন চাইতে গেলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করার নির্দেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ২০১২ সালের ১৪ জানুয়ারি গভীর রাতে বসুরহাট পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের মুরাদদের পার্শ্ববর্তী বসুরহাট পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর হাজী আবুল খায়ের গং এর মালিকানাধীন দুটি চৌচালা টিনের ঘরে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এতে ঘর দুটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ঘর দুটিতে থাকা ৫ জন নারী-পুরুষ গুরুতর আহত হয়। সেই অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গত ২০২৪ সালের ২৮ অক্টোবর আবুল খায়ের বাদী হয়ে নোয়াখালীর ২নং আমলী আদালতে ৩জনকে আসামি করে অগ্নিসংযোগের মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় আদালত সমন জারি করেন। আজ সোমবার পারভীন মুরাদ ও তার স্বামী আবদুল হাই মুরাদ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এ ব্যাপারে কাউন্সিলর হাজী আবুল খায়ের বলেন, ২০১২ সালে গভীর রাতে আমাদের ক্রয়কৃত সম্পত্তির ওপর নির্মাণ করা দুটি চৌচালা টিনের ঘরে আসামি পারভীন আক্তার, তার স্বামী আবদুল হাই মুরাদ ও দেবর শাহজাহান আগুন লাগিয়ে দেয়। সে সময় তৎকালীন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার ভয়ে আমরা মামলা করতে পারি নাই। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর আমি ২৮ অক্টোবর ২০২৪ সালে তাদের ৩ জনের বিরুদ্ধে অগ্নিসংযোগের মামলা করি। সেই মামলায় আজ সোমবার আদালতের আদেশে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আমি এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কামনা করছি।
খায়ের আরও বলেন, তাদের কিছু দোসর আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধমকি দিচ্ছে। আমি প্রশাসনের নিকট আমাদের ক্রয়কৃত সম্পত্তির ওপর পুনরায় ঘর নির্মাণে সহযোগিতা করার জন্য আবেদন জানাচ্ছি।