মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের সদর দফতরের সামনে নতুন নির্মিত শহীদ মিনারে প্রথমবার শহীদ দিবস পালিত হয়েছে। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রকৌশল বিভাগের আওতায় শহীদ মিনারে সংস্কারে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩২ লাখ টাকা।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের প্রকৌশলী-২ বীরবল মণ্ডল জানান, ১৯১০ সালে পাকশীতে হার্ডিঞ্জ ব্রীজ নির্মাণের পরে বিভাগীয় রেলওয়ের সদর দফতর নির্মিত হয়েছিল পাকশীতে। ওইসময় রেলওয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীর সন্তানদের লেখাপড়ার জন্য কয়েকটি রেলওয়ে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে এবং একটি শহীদ মিনার দেশ ভাগের পর পুরোনো আদলে নির্মিত হয়। পরে বহুবছর অতিবাহিত হলেও পাকশীতে নতুন কোন শহীদ মিনার গড়ে ওঠেনি। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রকৌশল বিভাগ পুরোনো শহীদ মিনার ভেঙ্গে নতুন রূপে ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি শহীদ মিনার নির্মাণ করে।
পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) শাহ সুফী নুর মোহাম্মদ জানান, পাকশী বিভাগীয় সদর দফতরের সামনে একটি শহীদ মিনার দীর্ঘদিনের চাওয়া ছিল রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্থানীয় এলাকাবাসীদের। যদিও আগে পুরোনো আদলে একটি শহীদ মিনার ছিল। যেহেতু শহীদ মিনার সরকার স্বীকৃত একটি রূপ আছে, মডেল আছে। সেই মডেলের আলোকে গণচাহিদা ছিল। আজকে সেই কাঙ্ক্ষিত স্থানে পৌঁছাতে পেরেছি। শুক্রবার মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে নতুন শহীদ মিনারে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্থানীয় এলাকাবাসী শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
উল্লেখ্য, এর আগে বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী ইউনিয়নে রেলওলে ফুটবল মাঠের সামনে আমতলায় শহীদ মিনারটি উদ্বোধন করা হয় এবং যারা ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছেন, সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত ও শ্রদ্ধা জানিয়ে একমিনিট নিরবতা পালন ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়।