লালমনিরহাট জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যানসহ গ্রেপ্তার ২
প্রকাশ : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৫:২৯ | অনলাইন সংস্করণ
হাতীবান্ধা (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি

লালমনিরহাট জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতা আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য কামরুল হাসানকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লালমনিরহাটের পুলিশ সুপার মো. তরিকুল ইসলাম।
এর আগে, বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার খিলক্ষেত থানার নিকুঞ্জ-২ এবং ধানমন্ডি থানার সোবাহানবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল হত্যাচেষ্টাসহ একাধিক মামলার আসামি। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আত্মগোপনে ছিলেন। এ সময় তিনি ও তার সহযোগী কামরুল হাসান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো, রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে উসকানি দেওয়া এবং দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছিলেন বলে দাবি পুলিশের।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, তারা ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’ নামের একটি সংগঠনের সক্রিয় সদস্য। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম, ইউটিউব ও জুম প্ল্যাটফর্মে সরকারবিরোধী প্রচারে যুক্ত ছিলেন তারা।
পুলিশ বলছে, পলাতক এক ব্যক্তিকে প্রধানমন্ত্রী করার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তারা সারাদেশের আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সংযুক্ত থেকে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালাচ্ছিলেন।
পুলিশ সুপার মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, "ঢাকা থেকে গ্রেপ্তারের পর তাদের লালমনিরহাটে আনা হয়েছে। বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলা কারাগারে পাঠানো হবে।"
গ্রেপ্তার আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল (৪২) লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার মধ্যগড্ডিমারী গ্রামের মৃত আতিয়ার রহমানের ছেলে। তিনি লালমনিরহাট জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এবং গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। তিনি হাতীবান্ধা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
অন্যদিকে, গ্রেপ্তারকৃত কামরুল হাসান (৩২) পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম আঙ্গোরপোতা গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে। তিনি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য। বিষয়ে পুলিশ আরও জানিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।