নরসিংদী রেলস্টেশনে চাঁদাবাজি, শ্লীলতাহানি ও নির্যাতনের অভিযোগে নরসিংদী শহর যুবদলের আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসান চৌধুরী সুমনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-দফতর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূইয়া স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তাকে বহিষ্কার করা হয়।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নরসিংদী জেলা যুবদলের সভাপতি মহসীন হোসাইন বিদ্যুৎ।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগে নরসিংদী শহর যুবদলের আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসান চৌধুরী সুমনকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তার কোনো ধরনের অপকর্মের দায় দল নিবে না। যুবদলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তার সাথে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়।
এর আগে বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার আবু তাহের মোহাম্মদ মুসা নরসিংদী জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এ নিয়ে বিভিন্ন মিডিয়ার সংবাদ প্রকাশ হয়। এতে বিষয়টি যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির দৃষ্টিগোচর হলে তা আমলে নিয়ে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার আবু তাহের মোহাম্মদ মুসা লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, ‘স্থানীয় চাঁদাবাজ মাহমুদুল হাসান চৌধুরী (সুমন) ও তার সহযোগীরা দীর্ঘদিন ধরে স্টেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে মোটা অঙ্কের চাঁদা আদায়ের চেষ্টা করছে। তারা স্টেশনের ভিআইপি কক্ষে নিয়মিত মাদক ও জুয়ার আসর বসায় এবং যাত্রীদের সঙ্গে অসদাচরণ করে। সবশেষ, গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টা ১৫ মিনিটের দিকে মাহমুদুল হাসান চৌধুরীর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী স্টেশনের অফিস কক্ষে প্রবেশ করে স্টেশন মাস্টারসহ কর্মচারীদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এসময় তারা বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে উপস্থিত ছিল বলেও অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।’
স্টেশন মাস্টার মুসা বলেন, ‘চাঁদাবাজ সুমন ও তার লোকজনের অত্যাচারে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমাদের নিয়মিত কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটছে। তারা শুধু আমাদের নয়, যাত্রীদেরও হয়রানি করছে। সুমন আমাদের একজন সিনিয়র স্টাফকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছে। আমরা জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি এবং প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছি।