পাবনার সাঁথিয়ায় মধ্যরাতে সড়কে গাছ ফেলে দুই প্রবাসীর গাড়িসহ অন্তত ১৫-২০টি গাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (১ মার্চ) রাত আনুমানিক ১টার দিকে বেড়া-সাঁথিয়া সড়কের ছেচানিয়া ব্রিজের পাশে এ ঘটনা।
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রাত দেড়টার দিকে ছেচানিয়া ব্রিজের পাশে সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে প্রথমে একটি পণ্যবাহী ট্রাক আটকে রাখে ডাকাতরা। এতে কিছু সময়ের মধ্যেই বাস, ট্রাক, প্রাইভেটকার সহ প্রায় ২০টি গাড়ি আটকে পড়ে। এসময় ১০ থেকে ১৫ জনের একটি ডাকাতদল দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে একটি গাড়িতে ডাকাতি চালায়। গাড়িতে থাকা দুই প্রবাসীর কাছ থেকে বিদেশি ডলার, স্বর্ণালংকার নগদ টাকা লুটে নেয়।
এসময় সড়কে গাড়ির যানজট তৈরি হয়। এ সুযোগে ডাকাতরা পরে পালাক্রমে বাকি গাড়িগুলোতেও ডাকাতি চালায়। পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রীদের মারধর করে তাদের সঙ্গে থাকা মোবাইল, টাকা ও অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী লুট করে নিয়ে যায়। বেশকিছু সময় চলে এ তাণ্ডব।
ডাকাতির কবলে পড়া দৈনিক নিরপেক্ষ পত্রিকার সাঁথিয়া প্রতিনিধি সাংবাদিক তোফাজ্জল হোসেন জানান, আমি সিএনজিযোগে সিএন্ডবি থেকে সাঁথিয়া আসার পথে ছেচানিয়া নামক স্থানে অন্যান্য গাড়ির মত আমাদের সিএনজিটা দাঁড় করতেই মুখবাঁধা একজন এসে আমার গলায় হাসুয়া ধরে বলে ‘যা আছে সব দে’। প্রাণভয়ে দিয়ে দেই। আমাদের গাড়ি থেকে না নামতে শাসিয়ে যায়।
তিনি বলেন, তারা ওই প্রবাসীদের টার্গেট করে আসছিল। কারণ যখনই পিছনে গাড়ি এসে থামলো অমনি কেউ বলে উঠে এই ওই গাড়িটা আসছে, বলে সবাই ওই গাড়িটার কাছে গিয়ে সব লুট করে নিয়ে যায়।
ডাকাতির কবলে পড়া অপর একজন আব্দুস সালাম নামে এক ইসলামী বক্তা ফেসবুকে দেওয়া ভিডিও বক্তব্যে বলেন, কিছুক্ষণ আগে এই সড়কে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে গাড়িগুলোতে ডাকাতি করেছে। হুট করে আমাদের গাড়িতে আক্রমণ করে ডাকাত দলের সদস্যরা। বারবার গাড়িতে আঘাতের পর আমরা ড্রাইভারকে গেট খুলে দিতে বললে ডাকাতরা ঢুকে ড্রাইভারের গলা ও পেটে চাকু ধরে। একইভাবে অন্যদেরও জিম্মি করে সব লুটে নিয়ে যায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য বাবু বলেন, ঘটনা শুনেছি। এখনো বিস্তারিত জানি না।
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ পাঠানো হয়। সুনির্দিষ্ট করে সংখ্যা বলতে না পারলেও কয়েকটি গাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।