শেরপুরে বিএনপি নেতা গোলাম জাকারিয়া বাদল হত্যার ঘটনায় কৃষক লীগ নেতাসহ ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের হয়েছে। এ মামলায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন—লালন মিয়া (৩২), সৌরভ মিয়া (২৬) এবং মোঃ মুরাদ। তারা সবাই সদর উপজেলার রঘুনাথপুর ও খুনুয়া চরপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
মামলায় ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে শেরপুর সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও কৃষক লীগ নেতা নূরে আলম সিদ্দিকীকে। তিনি বর্তমানে কারাগারে আছেন। ২ নম্বর আসামি করা হয়েছে কামারিয়া ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক মো. লুৎফর রহমানকে। মোট ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ১০ থেকে ১৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেছেন নিহত বাদলের স্ত্রী পপি বেগম।
এর আগে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হন সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম জাকারিয়া বাদল। তিনি কামারিয়া ইউনিয়নের ভীমগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা এবং শেরপুর সরকারি কলেজের ছাত্র সংসদের সাবেক এজিএস ছিলেন। হামলায় আহত হন ভীমগঞ্জ গ্রামের সোহাগ আলম ও রুহুল আমিন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত সোহাগ বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নিহত বাদলের স্ত্রী পপি বেগম বলেন, “আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের বিভিন্ন অপকর্মের প্রতিবাদ করতেন আমার স্বামী। এজন্য দীর্ঘদিন ধরে তাকে হুমকি দেওয়া হয়। এমনকি কিছুদিন আগে তার ওষুধের দোকানও ভাঙচুর করা হয়। খালেক হত্যা মামলার আসামি নূরে আলম সিদ্দিকী কারাগারে আছে। কামারিয়া ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক লুৎফর রহমান কারাগারে গিয়ে নূরে আলমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তার নির্দেশে ১৫-১৬ জন সহযোগী নিয়ে আমার স্বামী জাকারিয়া বাদলকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। মারা যাওয়ার আগে আমার স্বামী সব বলেছে।”
এ বিষয়ে শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুবায়দুল আলম বলেন, "মামলাটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত চলছে। ঘটনায় জড়িত সবাইকে গ্রেফতার করতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। খুব দ্রুতই বাকি আসামিদের আইনের আওতায় আনা হবে।"
