পবিত্র মাহে রমজানের শুরুতেই পাবনার ঈশ্বরদী বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও ইফতার সামগ্রীর দাম বেড়ে সাধারণ ক্রেতাদের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। বিশেষ করে ভোজ্যতেলের কৃত্রিম সংকট তৈরি হওয়ায় ক্রেতারা পড়েছেন বিপাকে। বাজার মনিটরিং জোরদার করলেও দাম নিয়ন্ত্রণে আসছে না বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।
সরেজমিনে ঈশ্বরদী বাজার ঘুরে দেখা যায়, খেজুর, তরমুজ, ছোলা, বেগুন, লেবু, সয়াবিন তেল থেকে শুরু করে গরুর মাংস ও মাছ পর্যন্ত প্রায় সব পণ্যের দাম লাফিয়ে বেড়েছে। খেজুরের দাম প্রকারভেদে কেজি প্রতি ৩০০ থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে, তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া কমলা ৩৫০, আপেল ৩৮০, আঙ্গুর ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সয়াবিন তেল লিটারপ্রতি ১৮০ টাকায় পৌঁছেছে, ছোলার কেজি ১২০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, আর পটল ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতারা জানান, রমজান শুরুর কয়েকদিন আগেই দাম বাড়তে শুরু করে। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি হচ্ছে তেলের বাজার নিয়ে। ডিলাররা পর্যাপ্ত বরাদ্দ পাচ্ছেন না, ফলে বাজারে তেল সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ক্রেতাদের অভিযোগ, রমজানকে কেন্দ্র করে সিন্ডিকেট করে ইচ্ছাকৃতভাবে তেলের কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হচ্ছে।
ঈশ্বরদী বাজারের ক্রেতা আবদুর সবুর বলেন, "রমজানে ইফতার কিনতে এসে দেখছি সবকিছুর দাম আকাশছোঁয়া। খেজুর দুই দিন আগে ৩০০ থেকে ৮০০ টাকায় ছিল, আজ সেই খেজুর ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এমন দাম শুনে খালি হাতে ফিরে যেতে হলো।"
বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ টিম গতকাল থেকে বাজারে মনিটরিং করছে। ঈশ্বরদীর সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাহাদত হোসেন খাঁন জানান, বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নিয়মিত তদারকি চলছে। কিছু কিছু পণ্যের দাম বাড়লেও তেলের সংকট এখন কিছুটা কমেছে বলে তিনি জানান। অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।