মাটি কাটার জন্য ডিসির প্রত্যয়নপত্র নেয়ার বিধান বাতিল, ইটভাটাকে শিল্প হিসাবে ঘোষণা ও ভাটা পরিচালনায় দীর্ঘ মেয়াদি পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা প্রণয়নসহ ৭ দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা ও পরিবেশ উপদেষ্টা বরাবরে স্মারকলিপি দিয়েছে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা ইটভাটা মালিক সমিতি।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) দুপুরে ইউএনও মো. জামাল হোসেনের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
স্মারকলিপি প্রদান করেন ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি মো. বেলাল হোসেন, সহ-সভাপতি হুমায়ন কবির, অর্থ সম্পাদক রহমত উল্লাহ, সদস্য অলি আহমেদ মজুমদার, কামরুল হাসান, মজিবুর রহমান, আবদুল হান্নান, হাসান ইমাম রিপন, আবদুল হালিম প্রমুখ। এর আগে, উপজেলা পরিষদ চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ করে ইটভাটা মালিক ও শ্রমিকরা।
ইটভাটা মালিক সমিতির উল্লিখিত দাবিগুলো হলো- ১. ২০১৩ সনের ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ আইনের জিগজাগ ভাটা বৈধ পদ্ধতির উল্লেখ থাকলেও উক্ত আইনের ৮(৩) (১) এবং ৮ (৩) (খ) উপ-ধারায় দুই রত্ব নির্দিষ্টকরণের কারণে দেশের কিছু জিগজাগ ইটভাটার মালিকগণ ছাড়পত্র ও লাইসেন্স পাচ্ছে না। ইতোমধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তর হাইব্রিড কিলুন এবং টানেল কিলন এর ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ এলাকার দূরত্ব ১০০০ মিটারের পরিবর্তে ৪০০ মিটার নির্ধারণ করেছে সুতরাং আমাদের জিগজ্যাগ ভাটার জন্য উক্ত আইনের ৮ (৩) (১) ধারায় নিষিদ্ধ এলাকার দূরত্ব ৪০০ মিটার এবং আইনের ৮ (৩) (খ) এ বনের দূরত্ব ৭০০ মিটার করে লাইসেন্স ও ছাড়পত্র পাওয়ার জন্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক পরিপত্র জারির মাধ্যমে পরিচালনা করার সুযোগ প্রদানের আবেদন।
২. জিগজাগ ইটভাটায় কোন প্রকার হয়রানি বা মোবাইল কোর্ট করা যাবে না, তা না হলে আমরা ভ্যাট টেক্স দেয়া বন্ধ করে দিতে বাধ্য হব।
৩. কোনো ইটভাটা বন্ধ করতে হলে সরকারিভাবে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিয়ে বন্ধ করতে হবে।
৪. মাটি কাটার জন্য ডিসির প্রত্যয়নপত্র নেয়ার বিধান বাতিল করতে হবে।
৫. পরিবেশগত ছাড়পত্র, ডি.সি লাইসেন্স, ফায়ার সার্ভিস লাইসেন্স, ট্রেড লাইসেন্সসহ অন্যান্য কাগজপত্রাদি ইস্যু/নবায়নের সময় কেন্দ্রীয় ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির প্রত্যয়ন পত্র বাধ্যতামূলক ভাবে জমা দেয়ার বিধান করার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়ার অনুরোধ।
৬. ইটভাটারে শিল্প হিসাবে ঘোষণা করা।
৭. ইটভাটা পরিচালনায় দীর্ঘ মেয়াদি পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।