ঢাকা শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

অরক্ষিত চৌদ্দগ্রাম বাজার, বাড়ছে চুরি

অরক্ষিত চৌদ্দগ্রাম বাজার, বাড়ছে চুরি

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে অবস্থিত চৌদ্দগ্রাম বাজারকে উপজেলাবাসী প্রাণকেন্দ্র বলে থাকেন। প্রতিদিন এখানে কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়। প্রায় সব ব্যাংকের শাখা থাকায় এটি ব্যবসায়িক দিক থেকেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অথচ, গুরুত্বপূর্ণ এই বাজার দীর্ঘদিন ধরে কার্যকর কোনো বাজার কমিটি ছাড়াই চলছে। নেই নৈশপ্রহরীও। ফলে বাজারজুড়ে বিরাজ করছে চরম নিরাপত্তাহীনতা ও বিশৃঙ্খলা।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, ১৭ বছর ধরে বাজারে কোনো নির্বাচিত কমিটি নেই। আগের সরকার আমলে সাবেক রেলমন্ত্রী তার অনুগত লোকজন দিয়ে বাজার কমিটি গঠন করে দিলেও, তা কখনোই ব্যবসায়ীদের স্বার্থরক্ষায় ভূমিকা রাখেনি। গত আগস্টের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর সেই কমিটিও বিলুপ্ত হয়ে যায়। এরপর থেকে পুরো বাজার কার্যত অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে আছে।

বাজারে নিয়মিতই ঘটছে চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা। হাজী জুলু মিয়া মার্কেটের মোবাইল ব্যবসায়ী মাসুদ জানান, ভোরে তার দোকানের তালা ভেঙে চুরি হয়েছে। নৈশপ্রহরী থাকলে এমন ঘটনা নাকি ঘটতো না। একইভাবে সাব রেজিস্টার অফিসের পাশে মক্রম আলী মার্কেটে একাধিক দোকানে চুরির ঘটনা ঘটে, যা ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।

বুধবার (৫ মার্চ) সরেজমিনে দেখা যায়, আশু শাহ ফকির সড়কের বাজারের প্রধান প্রবেশ পথটি দোকানীরা সামনের অংশ ভাড়া দিয়ে প্রায় বন্ধ করে ফেলেছেন। সংকুচিত এই পথে হেঁটে চলাচল করা দুষ্কর। রামরয়গ্রাম থেকে বাজারে আসা ক্রেতা আফজাল হক বলেন, রমজানে প্রচণ্ড ভিড় ঠেলে বাজারে ঢুকতে এবং বের হতে হিমশিম খেতে হয়।

ওয়াপদা গলিতেও একই চিত্র। হাঁস-মুরগির বাজারের পাশাপাশি অটো মিশুক চালকদের স্ট্যান্ডের কারণে পুরো পথ জুড়ে তৈরি হয় জট। ফলে ক্রেতা ও চালকদের মধ্যে প্রায়ই বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়।

বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, রমজানে ক্রেতাদের কেনাকাটার মৌসুম হলেও রাস্তা দখল আর বিশৃঙ্খলার কারণে ক্রেতারা বাজারে প্রবেশই করতে পারছেন না। ফলে ব্যবসায়ীরা ক্ষতির আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন।

২০০৬ সালের নির্বাচিত বাজার কমিটির সাবেক সেক্রেটারী খোরশেদ আলম বলেন, “আমাদের সময়ে এমন বিশৃঙ্খলা ছিল না। নৈশপ্রহরীসহ বাজারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হতো। ব্যবসায়ীদের ভোটে নির্বাচিত বাজার কমিটি গঠন ছাড়া এই পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব নয়।”

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জামাল হোসেন বলেন, “বাজার ব্যবসায়ীরা চাইলে তারা নিজেরাই কমিটি গঠন করতে পারেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো।”

চুরি,চৌদ্দগ্রাম,বাজার
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত