ঢাকা সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

শেরপুরে গারো পাহাড়ে আগুন, হুমকিতে জীববৈচিত্র্য

শেরপুরে গারো পাহাড়ে আগুন, হুমকিতে জীববৈচিত্র্য

শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড়ের কাংশা ইউনিয়নের অন্তর্গত হালচাটি ও গান্ধিগাঁও এলাকার বিস্তীর্ণ বনভূমি পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে যাচ্ছে। এতে করে জঙ্গলে বসবাস করা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রাণী ও বনজ গুল্মলতা পুড়ে জীববৈচিত্র্য পড়েছে হুমকিতে। অপরদিকে বনের প্রাকৃতিক ভারসাম্য হচ্ছে ধ্বংস।

জানা গেছে, ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের হালচাটি, গান্ধিগাঁও, গজনী বিট এলাকার বিস্তৃত বনে দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুন বাতাসের তোড়ে প্রবল বেগে ছড়িয়ে পড়ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কিছুদিনের মধ্যেই বনের গাছ নিলামে বিক্রি করা হবে। বনের যে সমস্ত অংশীদার রয়েছেন তারাই গাছ কাটার সুবিধার্থে এই আগুন লাগিয়ে দেন। পাশাপাশি বনের ভিতরে যাদের বাড়িঘর রয়েছে, তারাও বন উজার করতে এই কাজটি করতে পারে।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ বন বিভাগের রাংটিয়া রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক এসবি তানভীর আহমেদ ইমন এবং রেঞ্জ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল করিম বলেন, এখন শুকনো মৌসুমে শাল গজারি পাতা ঝরে স্তূপ হয়ে থাকে। যার ফলে স্থানীয় বাসিন্দা ও গজনী অবকাশ এলাকায় টুরিস্টদের আনাগোনা বেশি। তারা যে বিড়ি বা সিগারেট খায় সেই আগুন থেকেই জঙ্গলে আগুনের সূত্রপাত ঘটছে। আমরা বিট অফিসারের কাছে শুনেছি ১০ থেকে ১৫টি স্থানের আগুন নিভানো হয়েছে।

এছাড়া আমরা মাইকিং করে স্থানীয় বাসিন্দাদের সচেতনতা তৈরি করতে কাজ করবো, যাতে তারা বিড়ি সিগারেটের আগুন বনে না ফেলে। আমাদের ফরেস্ট গার্ডরা আগুন নেভাতে সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে। তবে আগুন নেভানোর জন্য আমাদের পর্যাপ্ত লোকবল ও সরঞ্জাম নেই। যেটুকু আছে তাই দিয়ে সনাতন পদ্ধতিতে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি।

এদিকে পরিবেশবাদী সংগঠনের লোকজন বলছে, শুষ্ক মৌসুমে বনের ঝরা পাতায় দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুন নিয়ন্ত্রণে বা বন্ধ করা না গেলে বনের মাঝে পাতার নিচে বসবাসকারী কীটপতঙ্গ, ছোট ছোট কুপিস ও ঔষধি গাছ সমূহ বিলুপ্ত হয়ে যাবে। ফলশ্রুতিতে পরিবেশের ভারসাম্য পড়বে চরম হুমকিতে।

গারো পাহাড়,আগুন,জীববৈচিত্র্য
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত