ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলাধীন সোহাগী ইউনিয়নের ভালুকবেড় ও মমরোজপুর গ্রামের মধ্যবর্তী স্থানে ডয়কা নদীর উপরে বাঁশের সাঁকোটি ভেঙে ফেলায় ভোগান্তিতে পরেছেন এই অঞ্চলের অন্তত ১০টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে ভেকু (এক্সকেভেটর) মেশিন দ্বারা নদী খননের সময় বাঁশের এই সাঁকোটি ভেঙে ফেলা হয়।
ভালুকবেড় পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, "প্রত্যেক নির্বাচনের আগে প্রার্থীরা এখানে ব্রীজ তৈরি দেওয়ার আশ্বাস দিলেও পাশ করার পরে আর কেও কথা রাখেনি। বাধ্য হয়ে এলাকার লোকজনের কাছ থেকে টাকা ও বাঁশ সংগ্রহ করে স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকোটি নির্মাণ করা হয়েছিলো। এই সাঁকোটি ব্যবহার করে ভালুকবেড়, বড়ইবাড়ি, টেঙ্গাপাড়া, ভালুকাপুর, জিগাতলা, সোহাগী পাড়া, মমরোজপুর, বৃ-কাঁঠালিয়া ও বগাপুতা সহ অন্তত ১০-১২টি গ্রামের মানুষ যাতায়াত করতো। সাঁকোটি ভেঙে ফেলায় এখন আমাদেরকে কয়েক কিলোমিটার অতিরিক্ত পথ ঘুরে চলাচল করতে হচ্ছে।" খুব দ্রুত এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণ করে দেওয়ার জোর দাবী জানান তিনি।
শাহ আলম নামক এক শিক্ষার্থী বলেন, প্রতিদিন বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শত শত ছাত্র-ছাত্রী এই পথে স্কুল-কলেজে যাওয়া-আসা করতো। বিকল্প ব্যবস্থা না করেই সাঁকোটি ভেঙে ফেলায় আমরা এখন চরম বিপাকে পরেছি।"
এই পথে নিয়মিত চলাচলকারী ভালুকাপুর গ্রামের বাসিন্দা রাজন কর বলেন, "আমরা খুব বিপদে আছি। ব্রিজ নির্মাণ করতে যেহেতু বেশ সময়ের প্রয়োজন, তাই দ্রুত এখানে একটি কাঠের সাঁকো তৈরি করে দেওয়া হলে আপাতত কোনোমতে চলাচল করা যেতো।"
এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. এরশাদুল আহমেদ বলেন, সাঁকো ভাঙার বিষয়ে আমার জানা ছিলো না। ইনশাআল্লাহ খুব দ্রুত ব্যবস্থা নিবো।