চাঁপাইনবাবগঞ্জে ছিনতাইয়ের অভিযোগে পুলিশের এক সহকারী উপ-পরিদর্শককে (এএসআই) দু'ঘণ্টা আটকে রাখে স্থানীয় জনতা।
বুধবার (৫ মার্চ) দিবাগত রাতে সদর উপজেলার হোসেনডাইং এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, কাউকে না জানিয়ে ওই এএসআই দুই সোর্সকে সঙ্গে নিয়ে মাদক উদ্ধারে গিয়েছিলেন। ছিনতাইয়ের অভিযোগ ওঠায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
ওই পুলিশ কর্মকর্তার নাম ফিরোজ রানা। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার (৫ মার্চ) রাত ৯টার কিছু পরে দিকে এএসআই ফিরোজ আরও দুজনকে সঙ্গে নিয়ে হোসেনডাইং এলাকায় একটি মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেন। কোন রকমে ওই মোটরসাইকেল চালক পালিয়ে এসে গ্রামের লোকজনকে জানান। পরে গ্রামের লোকজন জড়ো হয়ে ফিরোজসহ তিনজনকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে। তবে বাকি দুজন পালিয়ে গেলেও এএসআই ফিরোজকে ধরে ফেলেন স্থানীয়রা।
ঝিলিম ইউনিয়নের সদস্য মনিরুল ইসলাম মনি বলেন, সাদা পোশাকে ছিলেন এএসআই ফিরোজ। স্থানীয় লোকজন তাকে ধরে ফেলার পর নিজেকে পুলিশ সদস্য পরিচয় দেন এবং সঙ্গে থাকা পরিচয়পত্র দেখান। পরে খবর পেয়ে থানা ও গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা এসে রাত সোয়া ১১ টার দিকে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। তিনি বলেন, এর আগেও হোসেডাইং এলাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। তাই স্থানীয় জনতা প্রচন্ড ক্ষুব্ধ ছিলেন। মুহুর্তের মধ্যেই ঘটনাস্থলে তিন শতাধিক মানুষ জড়ো হয়ে যায়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) এএনএম ওয়াসিম ফিরোজ বলেন, বুধবার রাতে ফিরোজ রানা ডিউটি অফিসার ছিলেন। ডিউটি অফিসার থাকা অবস্থায় কোন অভিযানে যাওয়ার সুযোগ নেই। তারপরও সে (ফিরোজ রানা) দাবি করেছে দুই সোর্স নিয়ে মাদক উদ্ধারে গিয়েছিলেন। তবে মাদক উদ্ধারে যাওয়ার আগে তার ঊর্ধতন কোন কর্মকর্তাকে জানাননি। তার বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের অভিযোগ ওঠায় তাকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে। এছাড়াও ঘটনার তদন্তের জন্য একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।