স্বাধীনতার ৫৪ বছর পেরিয়ে গেলেও দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি। বিশেষ করে উপজেলার ৩নং সিংড়া ইউনিয়নের বেশিরভাগ রাস্তা এখনো কাঁচা ও খানাখন্দে ভরা। ফলে সেসব রাস্তা দিয়ে চলাচল করা দুঃসহ যন্ত্রণা হয়ে দাঁড়িয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য।
এছাড়াও ১নং বুলাকীপুর, পালশা ও ঘোড়াঘাট ইউনিয়নের অধিকাংশ সড়কই কাঁচা অবস্থায় পড়ে আছে। বছরের পর বছর এসব রাস্তার অবস্থা করুণ থাকলেও উন্নয়নের কোনো ছোঁয়া লাগেনি। বর্ষা মৌসুমে কাদা-পানিতে রাস্তা চলাচলের একেবারেই অনুপযোগী হয়ে পড়ে। যানবাহন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ তো বটেই, অনেক সময় দুর্ঘটনাও ঘটে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, বহুবার জনপ্রতিনিধিরা উন্নয়নের আশ্বাস দিলেও বাস্তবে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হয়নি। যেসব সড়ক কখনো পাকা হয়েছে, সেগুলোর অবস্থাও এখন বেহাল। ধুলাবালি, কাদা আর গর্তে ভরা এসব সড়কে যানবাহন চালানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় এক ট্রাকচালক বলেন, "এই এলাকার রাস্তাগুলো এতটাই খারাপ যে গাড়ি নিয়ে বের হলেই দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়। প্রায়ই গাড়ি বিকল হয়ে পড়ে, যার কারণে আমাদের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়।"
শিক্ষার্থীরাও জানায়, রাস্তাঘাটের বেহাল অবস্থার কারণে নিয়মিত স্কুল-কলেজে যেতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বিশেষ করে বর্ষাকালে জলাবদ্ধতা ও কর্দমাক্ত রাস্তায় চলা প্রায় অসম্ভব হয়ে ওঠে।
এ বিষয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, "স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও যদি ভালো রাস্তা না পাই, তাহলে উন্নয়ন কোথায়? শুধু প্রতিশ্রুতি আর আশ্বাস শুনেই জীবন পার হচ্ছে। কাজের কাজ কিছুই হয় না।"
তবে, স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, ঘোড়াঘাটের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে তারা কাজ করে যাচ্ছেন।
ঘোড়াঘাট উপজেলা প্রকৌশলী বলেন, "আমরা গুরুত্বপূর্ণ কিছু রাস্তার সংস্কার ও উন্নয়ন কাজ হাতে নিয়েছি। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এগুলো বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে।"