চুয়াডাঙ্গার তিতুদহে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে রফিকুল ইসলাম হত্যার ঘটনায় পুলিশ এজাহারভুক্ত তিন আসামিকে গ্রেফতার করেছে।
শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে গিরিসনগর মাঠ থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন— দর্শনা থানাধীন হুলিয়ামারি মিয়া পাড়ার মৃত শরীফ উদ্দিনের ছেলে ও মামলার ৪ নম্বর আসামি তসলিমুজ্জামান সাগর মেম্বার, গিরিসনগর বাজার পাড়ার আ. খালেক ত্রিপুরার ছেলে ৬ নম্বর আসামি বিল্লাল হোসেন এবং গিরিসনগর মোল্লা পাড়ার মৃত সাহেব আলীর ছেলে ৩৭ নম্বর আসামি আছের উদ্দিন মান্দার মেম্বার।
পুলিশের যৌথ অভিযানে এদের গ্রেফতার করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) কনক কুমার দাস, সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা ও দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদ তিতুমীর।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ১টি চাইনিজ কুড়াল, ৩টি রামদা ও ৫টি বাঁশের লাঠি উদ্ধার করা হয়েছে।
এর আগে, নিহত রফিকুল ইসলামের স্ত্রী নাহিদা আক্তার মুক্তা শনিবার রাতে ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরও ২০-২৫ জনকে আসামি করে দর্শনা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদ তিতুমীর জানান, রফিকুল ইসলাম হত্যা মামলার বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এর আগে স্থানীয় বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে ভিজিএফ ও টিসিবি কার্ডের তালিকা তৈরি নিয়ে বিরোধের জেরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহত রফিকুল ইসলামের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার রাতে তিতুদহ কবরস্থানে দাফন করা হয়। দাফনকালে জেলা, উপজেলা ও স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।