চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটের গোহালবাড়ি ইউনিয়নে ভিজিএফের কার্ড ভাগাভাগি নিয়ে বিএনপিতে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। ফলে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী রোববার (১৬ মার্চ) সকালে চাল বিতরণের কথা থাকলেও তা স্থগিত করা হয়েছে। ফলে উপকারভোগীদের চাল না পেয়ে বাড়ি ফিরতে হয়েছে। কার্ড ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্বের পরে চাল বিতরণ বন্ধের কথাও স্বীকার করেছেন গোহালবাড়ির ইউপি চেয়ারম্যান ইয়াসিন আলী।
গোহালবাড়ি ইউপি মেম্বার নুরুল ইসলাম বিএনপির কোন পদে না থাকলেও বিএনপি সমর্থন করেন। বিএনপির নিবেদিত কর্মী হিসেবে এলাকায় বেশ পরিচিত। অন্যদিকে মাসুদ রানা গোহালবাড়ি ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সভাপতি। এছাড়া তিনি জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ভোলাহাট উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম গ্রুপের কর্মী।
মারধরের শিকার মেম্বার নুরুল ইসলাম বলেন, বিএনপি নেতা আনোয়ারুল গ্রুপের কর্মী মাসুদ রানা পরিষদে এসে ভিজিএফের কার্ড দাবি করে। আমার কাছে তাকে দেয়ার মতো অবশিষ্ট কোন কার্ড নেই তা বুঝিয়ে বলি। তারপরও কথা না শুনে চেয়ারম্যানের অফিসে মাসুদ ও তার ভাই মইনুর মারধর করে।
তিনি আরও বলেন, এ নিয়ে গোহালবাড়িতে বিএনপির মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় মিমাংসার কথা উঠছে। এখনও বসা হয়নি। থানাতেও অভিযোগ করিনি। যার কারণে রোববারে ভিজিএফের চাল বিতরণ কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে।
অভিযুক্ত মাসুদ রানা বলেন, ভিজিএফের কার্ড চাইতে গিয়েছিলাম। আমাকে কার্ড দেয়নি। এ ঘটনায় তার (নুরুল মেম্বার) সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। এটা আমাদের দলীয় ব্যাপার।
এ ঘটনায় বিএনপি নেতা আনোয়ারুল ইসলামের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ভোলাহাট উপজেলা বিএনপির সভাপতি ইয়াজদানি জর্জ বলেন, ভিজিএফের কার্ড নিয়ে বিএনপির একজন কর্মী নুরুল ইসলাম মেম্বারকে মারধর করেছে মাসুদ রানা নামে একজন। এতে করে দলের নাম খারাপ হচ্ছে। এ কাজের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।
গোহালবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইয়াসিন আলী বলেন, আজকে (রোববার) ২ হাজার ৬৫০ জনের মাঝে ভিজিএফের চাল বিতরণের কথা ছিল। কিন্তু বিএনপিতে ভিজিএফের কার্ড ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্বে চাল বিতরণ বন্ধ করা হয়েছে। এসব ঝুট-ঝামেলা শেষ হলে চাল বিতরণ করা হবে।