ঢাকা সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

পদ্মাপাড়ের বসতবাড়ীতে মৌমাছির অভয়াশ্রম

পদ্মাপাড়ের বসতবাড়ীতে মৌমাছির অভয়াশ্রম

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মাপাড়ের চরমহিদাপুর গ্রামের কৃষক রশিদ মোল্লার বাড়ি এখন মৌমাছির অভয়াশ্রমে পরিণত হয়েছে।বাড়ির চারপাশে, বারান্দায়, গাছের ডালে ও কার্নিশে গড়ে উঠেছে অসংখ্য মৌচাক। কয়েক বছর ধরে মৌমাছিরা এখানে বসবাস করছে, আর প্রতি মাসে সংগৃহীত মধু বিক্রি হচ্ছে হাজার হাজার টাকায়।

প্রাকৃতিকভাবে তৈরি এই মধুর চাহিদা ও মূল্য দুটোই বেশি বলে জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তারা। স্থানীয়দের দাবি, এত সংখ্যক মৌচাক একসঙ্গে আগে কখনো দেখা যায়নি।

স্থানীয়রা জানান, প্রথমে ৪-৫টি মৌচাক দেখা গেলেও এখন প্রতি বছরই এর সংখ্যা বাড়ছে। বর্তমানে বাড়ির কার্নিশ, বারান্দা, আড়ার কাঠ, মেহগনি, বরই ও কাঁঠাল গাছে বসেছে অন্তত ৩৬টি মৌচাক। মৌমাছির ঝাঁক ঘুরে বেড়ালেও তারা একেবারেই নিরীহ প্রকৃতির, কাউকে কোনো ক্ষতি করে না।

কৃষক রশিদ মোল্লা বলেন, আমি একজন কৃষক। কৃষিকাজই আমার মূল পেশা। তবে গত চার বছর ধরে বাড়িতে থাকা মৌমাছির চাক থেকে মধু সংগ্রহ করে বাড়তি আয় করছি। প্রতি বিশ দিন পরপর অন্তত ১৫ কেজি মধু সংগ্রহ হয়, যা এক হাজার থেকে বারো শত টাকা কেজি দরে বিক্রি করি। খাঁটি মধু হওয়ায় বিক্রি করতে কোনো সমস্যাও হয় না।

গোয়ালন্দ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. খোকনউজ্জামান বলেন, প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হওয়া এই মধুর গুণগত মান অনেক ভালো, তাই এর চাহিদাও বেশি। এছাড়া, মৌমাছিগুলো একেবারেই নিরীহ প্রকৃতির, ফলে মানুষ নিরাপদে মধু সংগ্রহ করতে পারে। আমরা মৌচাষিদের মৌ-বাক্সে চাষ বাড়ানোর পরামর্শও দিচ্ছি।

স্থানীয়রা বলছেন, মৌমাছির এই অভয়াশ্রম শুধু অর্থনৈতিক দিক থেকেই নয়, পরিবেশগতভাবেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারা চান, এটি যেন অক্ষুণ্ন থাকে এবং আরও ব্যাপকভাবে প্রসার লাভ করে।

মৌমাছি,অভয়াশ্রম
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত