চাঁদপুরের শাহরাস্তির উপজেলার মনিপুর গ্রামে এক প্রবাসীর বাড়ীর ছাদে আলমগীর হোসেন (৩৫) নামে মাইকম্যানের মরদেহ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ দুইজনকে আটক করেছে।
সোমবার (১৭ মার্চ) দিনগত রাত ৮টার দিকে ওই গ্রামের ছোলাইমান মাষ্টারের বাড়ির সৌদি প্রবাসী আবুল হোসাইন মানিকের বাড়ির ছাদে এই মরদেহের সন্ধান মিলে।
আলমগীর হোসেন ওই গ্রামের নতুন বাড়ির মৃত মো. শহীদ উল্লাহর ছেলে। তিনি পেশায় বটবটি চালক ও মাইকম্যান। এক ছেলে ও দুই কন্যা সন্তানের জনক আলমগীর। তার স্ত্রীর নাম তাছলিমা বেগম।
প্রবাসী মানিকের স্ত্রী খোদেজা বেগম জানান, ওই বাড়ির শিপন এশার নামাজ আদায় করে ফেরার সময় বাড়ির ছাদে কারো উপস্থিতি টের পেয়ে তাদেরকে জানায়। এরপর তারা ছাদে এসে আলমগীরকে এলোপাতাড়ি জখম অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। তার গলাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে।
এদিকে খবর পেয়ে রাত ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে যান শাহরাস্তি থানা পুলিশ। পুলিশ ওই বাড়ির লোকদের সাথে কথা বলে ঘটনা জানার চেষ্টা করছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি মাঝারি সাইজের ধারালো ছুরি পাওয়া গেছে। মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করেন শাহরাস্তি ওঘারিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের (ইনচার্জ) পুলিশ পরিদর্শক গৌতম চন্দ্র হালদার।
নিহত আলমগীরের নিকটাত্মীয় মো. জাহিদ হাসান বলেন, ঘটনাস্থল থেকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি আমাকে জানালে তাৎক্ষণিক সেখানে উপস্থিত হই এবং ৯৯৯ ফোন দিয়ে ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হয়। এরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। খবর পেয়ে বহু মানুষ এসে এখানে ভীড় জমায়।
শাহরাস্তি মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবুল বাসার বলেন, কচুয়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রিজওয়ান সাঈদ জিকোর এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে কাজ করছেন।
চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. লুৎফর রহমান বলেন, এই ঘটনায় বাড়ির মালিকের স্ত্রী খোদেজা ও তার মেয়ে মাহমুদা আক্তার সোনিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে এর চেয়ে বেশি কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে আশা করি খুব শিগগিরই ঘটনার মূল রহস্য উদ্ঘাটন ও জড়িতদের গ্রেপ্তার সম্ভব হবে।
