ঢাকা রোববার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ৯ চৈত্র ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নকলায় একের পর এক চুরি, আতঙ্কে কর্মজীবীরা

নকলায় একের পর এক চুরি, আতঙ্কে কর্মজীবীরা

শেরপুরের নকলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটছে। এতে চাকরিজীবীসহ কর্মজীবী পরিবারের মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। সম্প্রতি দিনের বেলাতেও চুরির ঘটনা বেড়ে গেছে, যা স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।

এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে নকলা পৌর শহরের গ্রীণরোড এলাকায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাহফুজুর রহমানের বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটে।

সরেজমিনে দেখা যায়, চোরেরা বাসার গেটের তালা ভেঙে প্রবেশ করে, ঘরের কক্ষ ও আলমারির তালা ভেঙে নগদ অর্থসহ গুরুত্বপূর্ণ মালামাল নিয়ে যায়। চুরির সময় তারা ঘরের কাগজপত্র এলোমেলো করে রেখে গেছে।

ভুক্তভোগী মাহফুজুর রহমান জানান, তার বাসা থেকে নগদ ৮২-৮৫ হাজার টাকা চুরি হয়েছে, যার মধ্যে কিছু অর্থ উপজেলার কয়েকজন শিক্ষকের অফিসিয়াল কাজের জন্য গচ্ছিত ছিল। এছাড়া চোরেরা গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র তছনছ করেছে। এ ঘটনায় তিনি নকলা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, শুধু বাসাবাড়িই নয়, রাতের আঁধারে গরু, ছাগল, বৈদ্যুতিক মোটরসহ বিভিন্ন কৃষি যন্ত্রপাতি চুরি হচ্ছে। বিশেষ করে, কর্মজীবী দম্পতিদের বাড়িগুলো চোরচক্রের প্রধান টার্গেটে পরিণত হয়েছে।

স্থানীয় প্রসাধনী ব্যবসায়ী আলম মিয়া বলেন, “আমাদের মহল্লায় ৯০ শতাংশ পরিবারই চাকরিজীবী, বাকিরা প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। ফলে চোরচক্র বারবার এই মহল্লায় চুরির চেষ্টা চালাচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন ও বাসিন্দারা সচেতন হলে চুরি রোধ করা সম্ভব।”

নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান জানান, চুরির ঘটনার বিষয়ে যেকোনো তথ্য পেলে এবং থানায় কোন অভিযোগ বা সাধারণ ডায়েরি হলে চোরচক্রসহ অপরাধীদের সনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়াসহ চোরে যাওয়া মালামাল উদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় এবং হচ্ছে। নকলা থানার পুলিশ বিভিন্ন অপরাধ দমনে নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছেন তারা। আগের চেয়ে নকলা উপজেলায় অপরাধের মাত্রা ও পরিমাণ অনেক কমেছে বলেও তিনি জানান।

চুরি
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত