সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে ইফতার মাহফিলের আয়োজন নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ছাত্রদল নেতার মৃত্যুর পর দলটি স্থানীয় দুই নেতার পদ স্থগিত করা হয়েছে। পাশাপাশি ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে জেলা বিএনপি।
পদ স্থগিত হওয়া নেতারা হলেন চৌহালী উপজেলার এনায়েতপুর থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির (জনি সাইদুল) ও সাবেক সদস্যসচিব মঞ্জু রহমান (মঞ্জু শিকদার)।
জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি রুমানা মাহমুদ এবং সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চুর নির্দেশে দপ্তর সম্পাদক তানভীর মাহমুদ পলাশ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে—প্রাথমিক তদন্তে অভিযুক্ত দুই নেতার সকল পদ ও সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তের জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মকবুল হোসেন চৌধুরীকে আহবায়ক করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এ কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি নাজমুল হাসান তালুকদার রানা ও যুগ্ম সম্পাদক নূর কায়েম সবুজ। এ কমিটিকে আগামী ২ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেলে ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও মেম্বার রওশন আলী স্থানীয় বাজারে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেন। একই দিনে ওই ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি করিম মোল্লা চর এলাকার স্কুল মাঠে আরেকটি ইফতার আয়োজন করেন।
এ নিয়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং একপর্যায়ে ইফতারের আগে সংঘর্ষ বাধে। এতে কমপক্ষে ৯ জন নেতাকর্মী আহত হন।
আহতদের মধ্যে সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কবির হোসেনকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়, কিন্তু বুধবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। রাতেই পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার সকালে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় এলাকায় উভয় গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং রাত থেকেই বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়েছে।
এনায়েতপুর থানার ওসি রওশন ইয়াজদানি জানিয়েছেন, সংঘর্ষের ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে যৌথ বাহিনী কঠোর অবস্থানে রয়েছে।