আসন্ন ঈদুল ফিতরের খুশির জোয়ারে ভাসবে চারদিক। আর এই ঈদের আনন্দকে আরও বাড়িয়ে দিতে দিনাজপুরের ফুলবাড়ীর বাজারগুলো এখন জমজমাট। শহরের বিভিন্ন পোশাকের দোকানে এখন ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। সকাল ৯টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে কেনাকাটা।
পোশাকের দোকানগুলোতে ভিড় বেশি হলেও জুতা, কসমেটিকস, পাঞ্জাবি ও প্যান্টের দোকানগুলোতেও ক্রেতাদের কমতি নেই। বাহারি রং আর নকশার পোশাকে সেজেছে দোকানগুলো। ক্রেতারাও তাদের পছন্দের পোশাক খুঁজে নিতে ব্যস্ত।
ফুলবাড়ী পৌরশহরে ঈদের কেনাকাটা করতে আসা শহরের মধ্যগৌরীপড়া গ্রামের গৃহিণী মোছা. সুফিয়া আক্তার বলেন, ঈদের কিছুদিন বাকি থাকলেও দাম কম পাওয়ার আশায় আগেভাগে এসেছি। সন্তানদের জন্য জামা ও জুতা কিনেছি। ঈদের কেনাকাটা করতে এসে খুব ভালো লাগছে। তবে কাপড়ের দাম একটু বেশি মনে হচ্ছে।
কাঁটাবাড়ী গ্রামের শাহজান বেগম, অন্যান্য জিনিসের পাশাপাশি কাপড়ের দাম কিছুটা বেড়েছে। ফুলবাড়ীর কাপড়ের দাম দিনাজপুর জেলা শহরের তুলনায় কিছুটা বেশি।
স্বপ্নচূড়া ফ্যাশানের স্বত্বাধিকারী মাহাবুব আলম বলেন, মেয়ে বাচ্চাদের পোশাকের মধ্যে নতুন এসেছে ফার্সি ফ্রোক। এর চাহিদা অনেক বেশি। এবার পোশাকের দাম স্বাভাবিক রয়েছে তাই ক্রেতারাও স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে দেখে শুনে কিনতে পারছেন।
জেন্টস এন্ড বেবি ফ্যাশনের স্বত্বাধিকারী জানান, প্রতিটি পরিবারের বাবা মা নিজের পোশাক না কিনলেও বাচ্চাদের পোশাক আগে কেনে। তাই বাচ্চাদের পোশাকের চাহিদা বেশি।
স্বপ্নসিড়ি ফ্যাশনে স্বত্বাধিকারী সোহেল রানা বলেন, এ বছর পোশাকের দাম নাগালের মধ্যে হওয়ায় ক্রেতারা স্বাচ্ছন্দ্য কিনতে পারছেন। তাই বেচা বিক্রি বেশ ভালো হচ্ছে। এ বছর টি-শার্ট, সুতির পাঞ্জাবি ও জিন্সের প্যান্ট বেশি বিক্রি হচ্ছে; পাশাপাশি নারীদের শাড়ি ও মেয়েদের বিভিন্ন থ্রি-পিস বিক্রি হচ্ছে।
পৌর বাজারের মোহনা গার্মেন্টস, চমক ফ্যাশন, লাবণ্য পাঞ্জাবী হাউজ, উমাইজা ফ্যাশন, কেয়া ফ্যাশনসহ প্রায় সব দোকানে ক্রেতার আধিক্য দেখা গেছে।
থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম খন্দকার মহিব্বুল বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে পৌর এলাকাসহ উপজেলার প্রত্যেক এলাকার মার্কেট, শপিংমলসহ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে কঠোর নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে।
ফুলবাড়ী পৌর প্রশাসক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মাদ জাফর আরিফ চৌধুরী বলেন, পৌর শহরের প্রত্যেকটি মার্কেট ও শপিংমলের দিনেরাতে যানজট নিরসনসহ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। একই সঙ্গে পুলিশ সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করছেন।