ঢাকা সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫, ১০ চৈত্র ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ঈশ্বরদীতে জমে উঠেছে ঈদ বাজার, ক্রেতা নেই মধ্যবিত্তের মার্কেটে

ঈশ্বরদীতে জমে উঠেছে ঈদ বাজার, ক্রেতা নেই মধ্যবিত্তের মার্কেটে

ঈদুল ফিতর যতই ঘনিয়ে আসছে, ঈদের কেনাকাটায় জমজমাট হয়ে উঠছে ঈদ বাজার। শহরের বড় বিপণিবিতানগুলো ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়ে পরিণত হয়েছে বিশাল জনসমুদ্রে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে বেচাকেনার ধুম। তবে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের মার্কেটগুলোতে।

এবার ঈদ বাজারে দেশীয় পোশাকের আধিপত্য লক্ষ করা যাচ্ছে। অন্যান্য বছর ভারতীয় সিরিয়াল ও সিনেমার নায়িকাদের নামে পরিচিত পোশাকের চাহিদা থাকলেও এবার তা কম। দেশীয় ডিজাইনের পোশাকের বিক্রি বেড়েছে কয়েকগুণ।

শহরের নামী বিপণিবিতানগুলোতে তরুণীদের পোশাক দেড় হাজার থেকে ১০ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। ছোটদের পোশাকে নতুনত্ব এসেছে—মেয়ে শিশুদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে লং ফ্রক ও পার্টি ফ্রক, লেহেঙ্গা ও লং কামিজ। ছেলে শিশুদের ক্ষেত্রে বেশি বিক্রি হচ্ছে সুতি টি-শার্ট, বেবি স্যুট ও বিভিন্ন ডিজাইনের প্যান্ট।

নারীদের জন্য বাজারে এসেছে সারারা, গারারা, নায়রা, গাউন, থ্রি-পিস, লেডিজ টপস ও বিভিন্ন ডিজাইনের কুর্তি-প্যান্ট। এসব পোশাকের দাম শুরু হয়েছে ১,৫০০ টাকা থেকে ১৫,০০০ টাকার মধ্যে।

নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের পরিচিত হকার্স মার্কেটে এখনো তেমন বেচাকেনা জমেনি। এখানকার বিক্রেতারা আশা করছেন, ২৫ রমজানের পর বেচাকেনা বাড়বে। এখানে ২-৪ হাজার টাকার মধ্যেই ভালো মানের পোশাক মিলছে, যা স্বল্প আয়ের মানুষের সাধ্যের মধ্যে রয়েছে।

শহরের হকার্স মার্কেটের বিক্রেতা আব্দুর রহিম বলেন, "শুধু নিম্নবিত্ত নয়, মধ্যবিত্তরাও আমাদের কাছ থেকে পোশাক কিনছেন। তবে এখনও বিক্রি কম, ২৫ রমজানের পর বাড়বে।"

অপর বিক্রেতা আক্তার হোসেন বলেন, "এখন শিশুদের পোশাক কিছুটা বিক্রি হচ্ছে, কিন্তু বড়দের পোশাক বিক্রি কম। দেশের পরিস্থিতির কারণে বাজার মন্দা যাচ্ছে।"

প্রসাধনী ও জুয়েলারি দোকানগুলোতে ইফতারের পর ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে। বাহারি ডিজাইনের চুড়ি, কৃত্রিম গয়না ও অন্যান্য প্রসাধনী সামগ্রীর বিক্রি বেড়েছে কয়েকগুণ।

পাকশী থেকে কেনাকাটা করতে আসা রবিউল দম্পতি জানান, "ভালো মানের পোশাক ২ হাজার টাকার নিচে পাওয়া কঠিন। দাম গত বছরের তুলনায় ৩০০-৫০০ টাকা বেশি হওয়ায় বাজেটের সঙ্গে তাল মিলানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে।"

দিনমজুর তছলিম আলী বলেন, "পরিবারের জন্য পোশাক কিনতে এসেছি, কিন্তু বড় মার্কেটে দাম বেশি হওয়ায় হকার্স মার্কেটেই কেনাকাটা করছি।"

ঈদ উপলক্ষে শহরের বিভিন্ন টেইলার্সে ব্যস্ততা বেড়েছে। বিশেষ করে পাঞ্জাবি ও শার্ট তৈরির চাপ বেশি।

ডায়মন্ড টেইলার্সের মালিক হাসান আলী বলেন, "প্যান্টের অর্ডার নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছি। এখন শুধু শার্ট ও পাঞ্জাবির অর্ডার নেওয়া হচ্ছে।"

মৌসুমী টেইলার্সের মালিক আব্দুর রহিম জানান, "এবার কাজের চাপ অনেক বেশি। শবে বরাতের পর থেকেই অর্ডারের লাইন লেগে গেছে।"

ঈদ,বাজার,কেনাকাটা
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত