ঢাকা বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫, ১২ চৈত্র ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কিশোরগঞ্জে বিএডিসি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

সাংবাদিকদের সঙ্গে অশোভন আচরণ
কিশোরগঞ্জে বিএডিসি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ
অভিযুক্ত পাকুন্দিয়ার বিএডিসির উপ-পরিচালক হারুন অর রশীদ

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় বিএডিসি (আলু বীজ) উপপরিচালক হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের বিষয়ে তার বক্তব্য নিতে গেলে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন।

অভিযোগ রয়েছে, তিনি প্রতি বস্তায় কৃষকদের কাছ থেকে ১০ কেজি অতিরিক্ত আলু সংগ্রহ, জেনারেটরের তেল ও কীটনাশক না দিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করছেন। এসব অনিয়মের প্রতিবাদ করায় কার্যালয়ের সহকারী মেকানিক কাম-অপারেটর মো. দিদারুল আলম সজলকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। দিদারুল আলম সজল এ বিষয়ে গত ১৫ সেপ্টেম্বর কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ১ মার্চ বিএডিসিতে যোগ দেন দিদারুল আলম সজল। ২০২৩ সালের ১৮ আগস্ট তিনি অফিসে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বললে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয় এবং তার বেতন-ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হয়। চাকরি ফিরে পেতে তিনি পাকুন্দিয়া সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় বিবাদী হিসেবে পাকুন্দিয়া বিএডিসির উপপরিচালক হারুন অর রশীদসহ চার কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

মামলার নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে, দিদারুল আলম সজলকে মৌখিকভাবে চাকরিচ্যুত করা হয় এবং অফিসিয়াল কোনো নিয়ম-নীতি অনুসরণ করা হয়নি। এছাড়া, দুর্নীতি ও অনিয়মের প্রতিবাদ করলে তাকে হয়রানি করা হয়।

এর আগেও ২০২০ সালে হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে কৃষকদের মধ্যে ভেজাল বীজ বিতরণের অভিযোগ ওঠে। সে সময় নিম্নমানের বীজ দেওয়ায় কৃষকেরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হন এবং তার শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেন।

দিদারুল আলম সজল বলেন, "আমি ১২ বছর ধরে চাকরি করছি। দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলায় আমাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। বিষয়টি বিএডিসির চেয়ারম্যান ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের কেবিনেট সচিবকে জানিয়েছি। বাধ্য হয়ে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি।"

তিনি আরও অভিযোগ করেন, তিন বছরের বেশি একই কর্মস্থলে থাকার বিধান না থাকলেও অদৃশ্য শক্তির জোরে হারুন অর রশীদ ছয় বছর ধরে একই কর্মস্থলে রয়েছেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে হারুন অর রশীদ কোনো সদুত্তর না দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন।

এ বিষয়ে পাকুন্দিয়ার ইউএনও মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, "বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি। তার আচরণ অত্যন্ত নিন্দনীয় ও অপেশাদার। তাকে সতর্ক করা হয়েছে।"

বিএডিসি,কর্মকর্তা,অনিয়ম
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত