ঢাকা বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫, ১২ চৈত্র ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

মুরাদনগরে সূর্যমুখী চাষের অপার সম্ভাবনা, কৃষকের মুখে হাসি

মুরাদনগরে সূর্যমুখী চাষের অপার সম্ভাবনা, কৃষকের মুখে হাসি

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার মাটি ও আবহাওয়া সূর্যমুখী চাষের জন্য উপযোগী। কম সময় ও খরচে উচ্চ লাভজনক হওয়ায় কৃষকদের মধ্যে সূর্যমুখী চাষের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। এই আগ্রহকে আরও ত্বরান্বিত করতে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করছে।

বর্তমানে মুরাদনগরের বিভিন্ন মাঠে সূর্যমুখীর সোনালি হাসিতে ছেয়ে গেছে ফসলের ক্ষেত। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কৃষকরা এবার বাম্পার ফলনের আশা করছেন। উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, সাশ্রয়ী খরচে বেশি লাভ হওয়ায় সূর্যমুখী চাষ দ্রুত জনপ্রিয় হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সূর্যমুখী চাষকে উৎসাহিত করতে বাবুটিপাড়া, জাহাপুর, আন্দিকোট, কামাল্লা, মুরাদনগর সদরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের ২০ জন কৃষককে ১ কেজি করে বীজ ও ২০ কেজি করে সার প্রদান করা হয়েছে।

গত বছর উপজেলায় ৬ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষ হয়েছিল, যা এ বছর বেড়ে ৯ হেক্টর হয়েছে। এক বিঘা জমিতে ৭-৮ হাজার টাকা খরচ হলেও ৩০-৩৫ হাজার টাকার বীজ বিক্রি করা যায়। মাত্র ৯০-১২০ দিনের মধ্যেই বীজ সংগ্রহ করা সম্ভব, যা কৃষকদের জন্য লাভজনক।

নাগের কান্দি গ্রামের কৃষক বাবুল বলেন, "এ বছর প্রথমবার ২৫ শতাংশ জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেছি। ফলন ভালো হয়েছে, অনেকে এসে ছবি তুলছে। এতে আমার খুব ভালো লাগছে, পাশাপাশি আরও অনেকেই চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছে।"

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার বলেন, "সূর্যমুখী চাষে রোগবালাই কম, স্বল্প খরচে বেশি লাভ। এর বীজ থেকে উৎকৃষ্ট মানের তেল পাওয়া যায়, যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এবং নানা অসুখের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে।"

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পাভেল খান পাপ্পু বলেন, "মুরাদনগরের মাটি ও আবহাওয়া সূর্যমুখীর জন্য আদর্শ। কৃষকদের বিনামূল্যে বীজ ও সার সরবরাহ করা হচ্ছে। বাজার তৈরি করা গেলে কৃষকদের আরও আগ্রহী করা সম্ভব। সমবায় ভিত্তিক চাষ করলে সহজেই বাজার গড়ে তোলা যাবে। আগ্রহী কৃষকরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো।"

কৃষক,সম্ভাবনা,চাষ,সূর্যমুখী
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত