কক্সবাজারে টেকনাফের নাফ নদীতে মিয়ানমার থেকে নতুন করে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ থাকা বিজিবির সদস্য বিল্লাল হাসানের লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্ত শেষে বাড়ির উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছে।
বিজিবির টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান বলেন, দীর্ঘ ৩২ ঘণ্টা উদ্ধার অভিযান পরিচালনার পর রোববার ১২ টার দিকে নিখোঁজ হওয়া বিজিবি সদস্য সিপাহি মোঃ বিল্লাল হাসান এর মৃতদেহ শাহপরীরদ্বীপ ও সেন্টমার্টিন এর মাঝামাঝি গভীর সমুদ্রে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় টেকনাফে নাফ নদীর দমদমিয়া এলাকা থেকে প্রথম দফায় এক শিশুসহ চার রোহিঙ্গা এবং পরে রাতে একই এলাকা থেকে দ্বিতীয় দফায় আরও ২ রোহিঙ্গার মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে।
এদিকে রোববার বিকাল ৪ টা ৪০ মিনিটের দিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর বিজিবি সদস্য সিপাহি মোঃ বিল্লাল হাসান এর মৃতদেহ বিজিবির কক্সবাজার রিজিয়ন দপ্তরের নেওয়া হয়। সেখানে মরদেহের গোসল ও প্রথম নামাজের পর মৃতদেহ নিয়ে বিজিবির সদস্যদের একটি দল বিল্লাল হাসানের কুমিল্লার গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। সেখানে পৌঁছার পর লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
মৃত উদ্ধার মো. বিল্লাল হাসান (২৮) বিজিবির টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ সীমান্ত ফাঁড়িতে সিপাহি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার দারোরা ইউনিয়নের কাজিয়াতল এলাকার বজলুর রহমানের ছেলে।
শুক্রবার মধ্যরাতে টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপের পশ্চিমপাড়া ঘাটের নিকট দিয়ে রোহিঙ্গা বোঝাই একটি নৌকা অবৈধ উপায়ে সাগরপথে বাংলাদেশে আসার সময় প্রবল স্রোতের কারণে নৌকাটি উল্টে যায়। খবর পেয়ে সৈকতের পার্শ্ববর্তী স্থানে কর্তব্যরত বিজিবি সদস্যরা তৎক্ষণাৎ স্থানীয় জেলেদেরকে সঙ্গে নিয়ে রোহিঙ্গাদের উদ্ধারের জন্য ছুটে যান।
এসময় ২৫ জন রোহিঙ্গাকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। উদ্ধারকার্য চলাকালে সমুদ্র উত্তাল থাকায় এবং রাতে অন্ধকারের কারণে বিজিবি সদস্য সিপাহি (জিডি) মোঃ বিল্লাল হাসান পা পিছলে পড়ে সমুদ্রে নিখোঁজ হয়।
এছাড়াও উদ্ধারকৃত ৬ রোহিঙ্গার মৃতদেহ স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় দমদমিয়া কবরস্থানে জানাজা শেষে সৎকার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিজিবি।