কক্সবাজারের পেকুয়ায় ১১ একর লবণমাঠ দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শিক্ষার্থীসহ ১৬ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৮ জন নারী রয়েছেন।
সোমবার (২৪ মার্চ) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের পূর্ব উজানটিয়া রুপালী বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে, যাদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন পেকুয়া শহীদ জিয়াউর রহমান উপকূলীয় কলেজের ছাত্রী আফরোজা (১৮) ও তাঁর মা মিনা আক্তার (৪৫), উজানটিয়া এএস সিনিয়র মাদ্রাসার ছাত্রী কাসফা (১৮), কফিল উদ্দিন (২২), জেয়াসমিন আক্তার (৩০), আমজাদ (২২), বেলাল উদ্দিন (৩২), ছরওয়ার (৩০), রীনা আক্তার (৩০), কুলসুমা (৩৫), আহমদ হোসেন (৭৭), বুলু আক্তার (৩০), হামিদা বেগম (৪০), তৌহিদ (৩৫), আবুল কালাম (৮০) ও হাসান আলী (৬০)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রুপালী বাজার এলাকার কালা মিয়া, খুইল্যা মিয়া ও আলী হোসেন গংদের সঙ্গে মালেক পাড়ার জাফর আলম, আবু তাহের, মনির আহমদ ও আরিফ আহমদ গংদের মধ্যে ১১ একর লবণমাঠ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। সম্প্রতি রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এক পক্ষ জমি জবরদখলের চেষ্টা চালায়, যা সংঘর্ষে রূপ নেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানা যায়, সোমবার সকালে ২০-৩০ জনের একদল অস্ত্রধারী এলাকা ঘেরাও করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। তারা হাবিব উল্লাহর বাড়িতে ঢুকে হামলা চালায় এবং এনজিও কর্মী আবিদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। হামলার সময় অন্তত ১৫ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়।
আহতদের স্বজন আহমদ ছব্বি ও রোহেনা আক্তার বলেন, “সকালবেলা হঠাৎ করে সাইফুল, সুমন, আবু সুফিয়ান, জাবেদ, জায়েদ, সায়েদসহ প্রায় ২০-৩০ জন অস্ত্রধারী এসে আমাদের বাড়ির দিকে গুলি ছোড়ে। গুলির আঘাতে আমাদের ১৬ জন আহত হয়। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ রেকর্ড করা যায়নি।”
ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অস্ত্রধারীদের গুলি ছোড়ার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। এতে দেখা যায়, মুখোশধারী একদল অস্ত্রধারী প্রতিপক্ষকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ছে।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা জানান, “খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”