২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে দিনাজপুরে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলা তথ্য অফিসের সহযোগিতায় এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এস এম হাবিবুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ রফিকুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মারুফাত হুসাইন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল দিনাজপুর জেলা শাখার সভাপতি এ্যাড : মোঃ মোফাজ্জল হোসেন দুলাল। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দিনাজপুর জেলা শাখার সেক্রেটারি মুহাদ্দিস ড. এনামুল হক, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডিপুটি কমান্ডার মোঃ মোকশেদ আলী মঙ্গলীয়া।
২৫ শে মার্চের তাৎপর্য এবং গুরুত্ব তুলে ধরে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা তথ্য অফিসের সিনিয়র তথ্য অফিসার আব্দুল আলীম।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক একরামুল হক আবির। মূল আলোচক হিসেবে আলোচনা করে দিনাজপুর সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মোঃ ফরিদুল ইসলাম।
বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার সময় প্রত্যক্ষ জরিপে জানা যায়, দিনাজপুর জেলায় ১৮৫৭টি গণহত্যা সংগঠিত হয়েছে। ২৫ শে মার্চ প্রথম গণহত্যা শুরু হয় ঢাকার রাজারবাগে। জাতিসংঘের সংজ্ঞা অনুযায়ী, গণহত্যা বা জেনোসাইড হচ্ছে এমন কর্মকাণ্ড যার মাধ্যমে একটি জাতি বা ধর্মীয় সম্প্রদায় বা নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা চালানো। ২৫ শে মার্চ রাতে পাকিস্তানি সেনা শাসক পূর্ব পরিকল্পিতভাবে অপারেশন সার্চ লাইটের মাধ্যমে হামলা চালিয়ে জাতিকে মেধাশূণ্য করতে চেয়েছিল। আমরা এই গণহত্যা দিবসকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি চাই।
সঞ্চালনা করেন প্রভাষক হারুন-উর-রশিদ ও শাহানাজ পারভীন শাপলা।