কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের পূর্ব উজানটিয়া রুপালি বাজার পাড়ায় ১১ একর লবণ মাঠের দখলকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে গুলিবর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
সোমবার (২৪ মার্চ) আহতদের মধ্যে মোহাম্মদ ইসমাঈল বাদী হয়ে পেকুয়া থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ১০-১২ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
স্থানীয়দের তথ্যমতে, গত ২৪ মার্চ সকালে লবণ মাঠ দখল নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় মালেক পাড়ার মোহাম্মদ আবু ও ফরহাদ ইকবালের নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের একটি দল এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়ে নিরস্ত্র নারী-পুরুষের ওপর হামলা চালায়। তারা বাদীর বাড়িতেও ঢুকে পড়ে এবং পরপর ১৫ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। এতে নারী-পুরুষসহ অন্তত ১৬ জন গুলিবিদ্ধ হন। হামলাকারীরা একটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় বলেও অভিযোগ রয়েছে।
মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন—উজানটিয়া ইউপির মালেক পাড়ার মৃত ছাদেক আহমদের পুত্র মোহাম্মদ আবু (৩৫), মৃত আবুল কাসেমের পুত্র ফরহাদ ইকবাল (৪০) তাঁর ভাই নেওয়াজ (৩৩), রিমন (৪৫), মৃত হাবিবুর রহমানের পুত্র সাইফুল ইসলাম (৪০), মৃত বন্দন আলীর পুত্র সুমন (৫০), আবু তাহেরের পুত্র মো.জায়েদ (৩৩) তাঁর ভাই সায়েদ (৩৫), মৃত নুরুল হকের পুত্র লুৎফুর রহমান (৫৫), মৃত জাফর আলমের পুত্র জোমলাত (৪০), মৃত ছৈয়দ আহমদের পুত্র আরিফ আহমদ (৬০), মৃত আক্কাসের পুত্র মো. জাবেল (৪০), মৃত মনির আহমদের পুত্র আরফাত (৩৮) ও মৃত বাহদুরের পুত্র নবাব শরীফ (৩০)।
ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন অস্ত্রধারী মুখে মাস্ক পরে বন্দুক নিয়ে গুলি ছুড়ছে। এ ঘটনায় নেটিজেনরা দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
পরে যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে মালেক পাড়ায় সাইফুল ইসলামের বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করে। পুলিশের এসআই সুনয়ন বড়ুয়া বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে পৃথক মামলা করেন।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা জানান, “আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। যাদের হাতে অস্ত্র ছিল এবং গুলি চালিয়েছে তাদের শনাক্ত করা হয়েছে। দ্রুতই গ্রেপ্তার করা হবে।”