ঢাকা সোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫, ১৭ চৈত্র ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

রংপুরে আখতার হোসেন

‘ফ্যাসিবাদী শক্তি নির্বাচনে না আসতে পারলে গণতন্ত্রের বিজয় সূচিত হবে’

‘ফ্যাসিবাদী শক্তি নির্বাচনে না আসতে পারলে গণতন্ত্রের বিজয় সূচিত হবে’

রংপুর ব্যুরো

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, ফ্যাসিবাদী শক্তি নির্বাচনে না আসতে পারলে গণতন্ত্রের বিজয় সূচিত হবে। জাতীয় নাগরিক পার্টি দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছে দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার করা, নিবন্ধন বাতিল ঘোষণাসহ তাদের দলের নাম ও মার্কা নিয়ে বাংলাদেশে কেউ কোন ভাবে রাজনীতি করতে পারবে না।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুর নগরীর মাহিগঞ্জ গ্লাস ফ্যাক্টরি মাঠে ভ্যান শোভাযাত্রা শুরুর আগে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

আখতার হোসেন বলেন, দেশের মানুষের প্রত্যাশা যাদের হাত ধরে ফ্যাসিবাদ বিদায় নিয়েছে, দেশ গণতান্ত্রিক পরিবেশে উত্তোরণের সুযোগ পেয়েছে, সেই তরুণদের হাত ধরে দেশের মানুষ আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চায়। সে যাত্রায় জাতীয় নাগরিক পার্টি কাজ শুরু করেছে।

নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, আমরা মনে করি অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কার ও বিচার কার্যক্রমের দৃশ্যমান অগ্রগতি নিশ্চিতের ভেতর দিয়ে নির্বাচনের দিকে অগ্রসর হবে। তবে নির্বাচনের ক্ষেত্রে অবশ্যই গণপরিষদ নির্বাচনের বাস্তবতা রয়েছে। দেশে ফ্যাসিবাদী, একনায়ক তান্ত্রিক, অগণতান্ত্রিক ও জনগণের অধিকার বঞ্চিত করার সংবিধান দিয়ে দেশের শাসন কাঠামো পরিচালিত হবে তা দেশের মানুষ চায় না। দেশের মানুষ নতুন সংবিধান প্রত্যাশা করে। আশা করবো ক্রিয়াশীল ফ্যাসিবাদ বিরোধী সকল রাজনৈতিক পক্ষ গণপরিষদ নির্বাচনের বিষয়ে জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবে।প্রধান উপদেষ্টা ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলেছেন। অন্য রাজনৈতিক শক্তি যদি অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা করে তাহলে সংস্কার ও বিচার কার্যক্রম অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে দৃশ্যমান করে নির্বাচনের পথে অগ্রসর হওয়া সম্ভব। এতে এই সময় সীমার মধ্যে নির্বাচন হওয়ার মত বাস্তব পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।

আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি সম্পর্কে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি যোগসাজশ করে পরপর ৩টি ডামি নির্বাচন, প্রহসনের নির্বাচন করেছে। এই দুই দলের যোগসাজশে দেশের মানুষ গণতন্ত্রের আবহ থেকে পরিপূর্ণভাবে বঞ্চিত ছিল। দীর্ঘসময় ধরে ফ্যাসিবাদীদের জাঁতাকলে পৃষ্ঠ হওয়ার পেছনে ছিল এই দুটি রাজনৈতিক দল। দেশের ২০২৪ সালে যেন গণহত্যা সংগঠিত হয়েছিল তার প্রকাশ্য মদতদাতা সংগঠন আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসর জাতীয় পার্টি। পিলখানা হত্যাকাণ্ড, মোদি বিরোধী আন্দোলনে হত্যাকাণ্ড, শাপলা হত্যাকাণ্ড ও জুলাই হত্যাকাণ্ডে ব্যক্তি হিসেবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এবং দল হিসেবে আওয়ামী লীগ জড়িত ছিল।যারা গণহত্যার আনজাম দেয়, দেশের মানুষের উপর মানবতাবিরোধী অপরাধ চাপিয়ে দেয়, গণতন্ত্রকে লুণ্ঠন করে নিয়ে যায়, এমন শক্তি কোনোভাবে গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি নয়। গণতন্ত্রকামী মানুষ ও দেশ কোনোভাবে ফ্যাসিবাদী শক্তিকে তাদের দেশে রাজনীতি করতে দেয়ার অধিকার রাখে না। তাই আমরা মনে করি আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির মত ফ্যাসিবাদী শক্তি ইনক্লুসিভ নির্বাচনের প্রয়োজনীয় উপাদান হতে পারে না।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, এনসিপির সংগঠক আলমগীর নয়ন, তৌফিক ইসলামসহ অন্যরা। এরপর দুই শতাধিক ভ্যানে নেতা কর্মীদের নিয়ে একটি শোভাযাত্রা পীরগাছার দেউতি, সৈয়দপুর, কদমতলা, পীরগাছা, নেক মামুদ, পাওটানা, ভাইয়েরহাট ও কাউনিয়ার টেপামধুরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

ফ্যাসিবাদ,নির্বাচন,গণতন্ত্র,আখতার হোসেন,এনসিপি
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত