পবিত্র ঈদুল ফিতর ও সাপ্তাহিক ছুটির কারণে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে টানা ৯ দিন আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে, দুই দেশের পাসপোর্টধারী যাত্রীদের চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) সকালে ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু মুছা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আগামীকাল ২৯ মার্চ (শনিবার) থেকে ৫ এপ্রিল (শনিবার) পর্যন্ত বন্দর দিয়ে কোনো আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চলবে না। তবে, ৬ এপ্রিল (রোববার) থেকে পুনরায় বন্দর সচল হবে।
তিনি জানান, আজ ২৮ মার্চ (শুক্রবার) বিকেল থেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ঘোজাডাঙা স্থলবন্দর ও ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে। ঈদ উদযাপনের জন্য বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজ নিজ এলাকায় চলে যাবেন। একই ভাবে, আমদানিকারকরা ছুটিতে থাকবেন, ফলে এই সময়ে কোনো পণ্য খালাস করা হবে না।
স্থলবন্দর ব্যবহারকারীরা জানান, ভোমরা স্থলবন্দর দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম ব্যস্ত বন্দর। এই বন্দর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ঘোজাডাঙা স্থলবন্দর সঙ্গে সংযুক্ত। এখান দিয়ে কাঁচামাল, খাদ্যপণ্য, পেঁয়াজ, চাল, ফলমূল, কয়লা, মশলা ও বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রী আমদানি-রপ্তানি হয়ে থাকে। এ বন্দর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৩৫০ থেকে ৪০০ ট্রাক পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয়।
ভোমরা স্থলবন্দর শুল্ক স্টেশন সহকারী কমিশনার সাকিব রায়হান বলেন, আগামী ৬ এপ্রিল (রোববার) থেকে পুনরায় বন্দরের কার্যক্রম চালু হবে। তখন স্বাভাবিকভাবে আমদানি-রপ্তানি শুরু হবে এবং ব্যবসায়িক কার্যক্রম পুরোদমে চলবে।
তবে বন্দরের কাস্টমস বিষয়ক সম্পাদক আমীর হামজা জানান, দীর্ঘ ৯ দিনের ছুটির ফাঁদে পড়ে বন্দরটি দৈনিক গড়ে দেড় কোটি টাকা হারে সাড়ে ১৩ বা ১৪ কোটি টাকা সরকার রাজস্ব হারাবে।
ভোমরা চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তুফান দুলাল মন্ডল জানান, ঈদের ছুটিতে বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক থাকবে। অর্থাৎ, যাত্রীরা পূর্বের মতোই নির্বিঘ্নে সীমান্ত পাড়ি দিতে পারবেন।
