ঈদ যাত্রায় দেশের দক্ষিণবঙ্গের প্রবেশদ্বার মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার পদ্মা সেতুতে শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার দিন সকাল থেকেই রাজধানী ছেড়ে গ্রামে ফেরা মানুষের ভিড় বেড়েছে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তের পদ্মা সেতুর টোল প্লাজা এলাকায়।
শুক্রবার ভোর থেকে বেলা বাড়ার সাথে সাথে ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেয়েছে যানবাহনের চাপ। মোটরসাইকেলের পাশাপাশি যাত্রীবাহী বাসের চাপ লক্ষ করা গেছে। তবে এখন পর্যন্ত সড়কপথে যানজট কিংবা ভোগান্তি না থাকায় উৎসবের 'রং এ' স্বস্তির হাসি ফুটেছে মানুষের মুখে।
সকাল নয়টায় পদ্মা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সায়াদ জানান, মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার পদ্মা সেতুতে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় টোল আদায় বেড়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১২ টা থেকে গেল ২৪ ঘন্টায় সেতুতে টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৭ লাখ ৬৭ হাজার ৮৫০ টাকা। এসময় মাওয়া প্রান্ত হয়ে পদ্মা সেতু পারি দিয়েছে ১৭ হাজার ৩৩৫টি যানবাহন। জাজিরা প্রান্ত দিয়ে পারি দিয়েছে ১০ হাজার ৩৪৮ টি যানবাহন। এছাড়া উভয় প্রান্তে চলাচল করেছে ২৭ হাজার ৬৮৩টি যানবাহন।
তিনি আরো জানান, ঈদ ঘিরে পদ্মা সেতু হয়ে মাওয়া প্রান্তে যানবাহনের চাপ লক্ষ্য করা গেছে। এ অবস্থায় রাজধানী থেকে দক্ষিণবঙ্গমুখী যানবাহনগুলো সহসাই নির্বিঘ্নে সেতু পারাপার হচ্ছে।
এদিকে ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তের টোল প্লাজা এলাকায় ৭টি বুথে আদায় করা হচ্ছে যানবাহনের টোল। তবে মোটরসাইকেলের জন্য বরাবরের মতোই এবারও রয়েছে আলাদা ভাবে টোল নেয়ার ব্যবস্থা।
শ্রীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান জানান, ঈদ যাত্রায় পুরো মহাসড়কের বড় চ্যালেঞ্জ টোল প্লাজার সামনে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ। ভোরে গাড়ির চাপ থাকলেও সময় বাড়ার সাথে সাথে অনেকটা কমে এসেছে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় এবং
যাত্রীদের নিরাপত্তায় হাইওয়ে পুলিশের ৮ টি ইউনিট সহ ৪০০ পুলিশ সদস্য কাজ করছে। এখন পর্যন্ত মহাসড়কে কোনো দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।