ঠাকুরগাঁওয়ে ৬৯ বস্তা ওএমএসের চাল জব্দ করেছে পুলিশ। এ সময় আটক করা হয় আমিনুল ইসলাম নামে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতাকে। পুলিশের দাবি, বিএনপির ওই নেতা এমএসের চাল পাচারের সঙ্গে জড়িত।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) গভীর রাত সাড়ে ৩টার দিকে সদর উপজেলার বেগুনবাড়ি ইউনিয়নের রাজাপুকুর এলাকা থেকে চালসহ ওই বিএনপি নেতাকে আটক করা হয়। জব্দ করা হয় ওএমএসের চাল বহনে যুক্ত মাহিদ্রাও। বর্তমানে জব্দকৃত গাড়িসহ চাল থানা হেফাজতে রয়েছে।
আটক আমিনুল বেগুনবাড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক পদে রয়েছেন।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) বিবাগত রাতে খাদ্য অধিদপ্তরের অনুমোদিত ওএমএসের ডিলার ওয়াদুদ ও তার সহযোগীরা মিলে একটি মাহিন্দ্রা গাড়িতে করে চালগুলো কালোবাজারে বিক্রির উদ্দেশে নিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় স্থানীয়রা আমিনুল ইসলামকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে আমিনুলকে আটক করে।
স্থানীয়দের দাবি, আমিনুল বাদেও ওএমএসের চাল ইস্যুতে কামাল হক, সুলতান, নুর আমিন ও ওয়াদুদ জড়িত। এ চারজনো স্থানীয় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।
স্থানীয় বিএনপি নেতা ইমাম আলী বলেন, ‘ওরা দলের কলঙ্ক, ওরা চোর। ওদের কারণে দলের সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে।’ দিনমজুর নাজমুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। আমাদের জন্য সরকারের এ খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি। অথচ, তারা চাল বিক্রি করে দিচ্ছে।’
হরচন্দ্র বর্মন নামের আরেকজন বলেন, ‘প্রতিদিন চাল নিতে গেলে ডিলার বলেন চাল নেই। আজ দেখলাম চাল বের হচ্ছে।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. আব্দুল হামিদ বলেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের ইউনিয়ন আহ্বায়ক আমিনুল ইসলামকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। অন্যদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খায়রুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের অধীনে। সংশ্লিষ্ট দপ্তর এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে। এ বিষয়ে জানতে সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. আবুল বাশারকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।