ঢাকা মঙ্গলবার, ০১ এপ্রিল ২০২৫, ১৮ চৈত্র ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ফুলবাড়ীতে ঈদের কেনাকাটা

স্বল্প আয়ের মানুষের চোখে ফুটপাতই যেন শপিংমল

স্বল্প আয়ের মানুষের চোখে ফুটপাতই যেন শপিংমল

আসন্ন পবিত্র ঈদ উল ফিতর যতই এগিয়ে আসছে ততই বাড়ছে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের কেনাবেচার ব্যস্ততা। অবস্থা সম্পন্নরা শহরের মার্কেট আর বিপণী বিতানগুলোতে কেনাকাটা করলেও স্বল্প আয়ের মানুষরা ছুটছেন ফুটপাতের দোকানগুলোতে। তাদের কাছে ফুটপাতের দোকানই যেন শপিংমল।

ফুলবাড়ী পৌরশহরের বাজারের দয়াল মার্কেট, পুরাতন কাপড় মার্কেট, খন্দকার মার্কেট, মন্ত্রী মার্কেটসহ বেশ কয়েকটি বিপণী বিতান এলাকা ঘুরে দেখা গেছে বিপণী বিতানগুলোতে কেনাকাটার ভিড়। পাশাপাশি ভূমি অফিস সংলগ্ন ফুটপাত দোকানগুলোতে স্বল্প ও মধ্যম আয়ের মানুষের ভিড় চোখে পড়ার মতো।

ফুটপাতের দোকানগুলোতে ৩০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকার মধ্যে শিশু, নারী ও বয়স্কদের পোষাক পাওয়া যাচ্ছে, যা কিনতে বিপণী বিতানে লাগছে ৮০০ টাকা থেকে ২০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত। ফুটপাতে তৈরি পোষাক, শাড়ি, লুঙ্গি, জুতা, কসমেটিকসহ ঈদে ব্যবহারের নানা পণ্য পাওয়া যাচ্ছে। ফুটপাতের দোকানগুলোতে নারী ক্রেতাদের ভিড় সবচেয়ে বেশি।

স্থানীয় একটি বেসরকারি কলেজের অফিস সহায়ক (পিয়ন) আব্দুর রহিম বলেন, ছেলেমেয়েদের জন্য ঈদের কাপড় চোপড় কেনার জন্য আমাদের মতো স্বল্প আয়ের মানুষের ফুটপাতের দোকানগুলোই ভালো। কারণ এখানে আমাদের মানুষের কথা চিন্তা করেই দোকানিরা মালামাল রাখেন। আর বড় বড় বিপণী বিতানগুলোতে কাপড় চোপড়ের যে দাম তাকে করে আমাদের পক্ষে কেনা সম্ভব না।

শিবনগর গ্রামের গৃহবধূ রোকেয়া বেগম এসেছেন তার দুই শিশু ছেলেমেয়েকে নিয়ে ঈদের কাপড় চোপড়সহ অন্যান্য জিনিস কিনতে। কথা হয় ফুলবাড়ী ভূমি অফিস সংলগ্ন ফুটপাত মার্কেটে। তিনি জানান, স্বামীর যা আয় রোজগার তার সবটাই কৃষির উপর নির্ভর করেই। তার উপর আবার এ বছর আলুতে লোকসান খেতে হয়েছে। তারপরও বছরের ঈদের নতুন জামা কাপড়সহ অন্যান্য দ্রব্যাদি কিনতে ফুলবাড়ীতে এসেছে। শহরের বিপণী বিতানে তার মতো লোকের কাপড় চোপড় কেনা খুব কষ্টকর তাই ফুটপাত মার্কেট থেকেই ছেলে-মেয়ে, নিজের এবং স্বামীর জন্য জামা ও লুঙ্গি কিনেছেন।

ফুটপাত মার্কেটের প্রবীর ফ্যাশনের স্বত্বাধিকারী প্রবীর চন্দ্র বলেন, অন্য বছরগুলোর চেয়ে এ বছর ব্যবসা একটু কম। কারণ কৃষক চাহিদানুযায়ী আলুর দাম পায়নি আর চলছে ইরি-বোরো চাষ মৌসুম। এসব কারণে কৃষকের হাতে এ মুহূর্তে টাকা পয়সা না থাকায় বেচাবিক্রি মন্দা যাচ্ছে। তবে শেষ পর্যন্ত হয়ত বেচাবিক্রি বাড়তে পারে।

থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম খন্দকার মহিব্বুল বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে পৌর এলাকাসহ উপজেলার প্রত্যেক এলাকার মার্কেট, শপিংমলসহ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

ফুলবাড়ী পৌর প্রশাসক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মাদ জাফর আরিফ চৌধুরী বলেন, পৌর শহরের প্রত্যেকটি মার্কেট ও শপিংমলের দিনেরাতে যানজট নিরসনসহ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ৬ জন আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। একই সঙ্গে পুলিশ সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করছেন।

স্বল্প আয়ের মানুষ,ফুটপাত,শপিংমল,ঈদের কেনাকাটা
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত