মিয়ানমারের আরাকান আর্মির হাতে জিন্মি থাকা বাংলাদেশি ছয় জেলেকে ২৮ দিন পর বান্দরবানে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে ফেরত আনলো বিজিবি।
শনিবার দুপুরে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তের বাংলাদেশ-মিয়ানমার মৈত্রী সেতু দিয়ে এসব জেলেদের ফেরত আনা হয় বলে জানান, বিজিবির কক্সবাজার ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. ফারুক হোসেন খান।
ফেরত আসা জেলেরা হল, টেকনাফ পৌরসভার চৌধুরী পাড়ার মৃত জাফর আলমের ছেলে মো. সোহেল (১৮), মৃত মোহাম্মদ ইসলামের ছেলে মো. ইসমাইল (৪০), সামসুল আলমের ছেলে মো. জসিম (১৯), হোসেন আহমেদের ছেলে মো. হোসেন আলী (১৪), ছৈয়দ আহম্মেদের ছেলে মো. শফিক (৩৩) এবং দক্ষিণ জালিয়াপাড়ার মো. আনোয়ারের ছেলে মো. শাহীন (১২)।
লে. কর্নেল ফারুক হোসেন খান বলেন, গত ১ মার্চ বিকালে টেকনাফের নাফ নদীতে মাছ ধরার সময় ইঞ্জিন চালিত বাংলাদেশি দুই নৌকা ভুলবশত জলসীমার মিয়ানমার অভ্যন্তরে ঢুকে পড়ে। এতে চলমান সংঘাতের প্রেক্ষিতে মিয়ানমারের সীমান্ত এলাকা নিয়ন্ত্রণে থাকা বিদ্রোহী গোষ্টি আরাকান আর্মির সদস্যরা নৌকা দুইটি সহ ৫ জেলেকে ধরে নিয়ে। এরপর গত ২৫ মার্চ নাফ নদীতে মাছ ধরার আরও এক জেলেকে ধরে নিয়ে যায় আরাকান আর্মির সদস্যরা।
ঘটনা অবহিত হওয়ার পর থেকে বিজিবি ধরে নিয়ে যাওয়া বাংলাদেশি জেলেদের ফেরত আনতে আরাকান আর্মির সাথে যোগাযোগ শুরু করে। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর আরাকান আর্মি জিন্মি থাকা বাংলাদেশি এসব জেলেদের ফেরত দিতে সম্মত হয়।
অবশেষে শনিবার দুপুরে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তের বাংলাদেশ-মিয়ানমার মৈত্রী সেতু দিয়ে বাংলাদেশি এই ৬ জেলেকে ফেরত আনে বলে জানান, বিজিবির এ কর্মকর্তা।
লে. কর্নেল ফারুক হোসেন খান জানান, বাংলাদেশি জেলেদের ফেরত আনার পর তথ্য সংগ্রহ করা হয়। পরে এসব জেলেকে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।