রাত পোহালেই ঈদুল ফিতর। ঈদের আগে আর মাত্র এক রাত বাকি, তাই শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় ব্যস্ত ক্রেতারা। পছন্দের পোশাক আগেই কিনে রাখলেও এখন ভিড় জমেছে জুতা, কসমেটিক, জায়নামাজ, তসবি, টুপি ও মাংসের দোকানে। ব্যবসায়ীদের মতে, ঈদের শেষ সময়ে এসব পণ্যের চাহিদা বাড়ে, ফলে বিক্রিও ভালো হচ্ছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ঈশ্বরদীর বিভিন্ন বাজারে জুতা, কসমেটিক, জায়নামাজ, তসবি, টুপি ও মাংসের দোকানে উপচেপড়া ভিড়। তবে ক্রেতারা অভিযোগ করছেন, দাম তুলনামূলক বেশি রাখা হচ্ছে।
এক ক্রেতা হাসিবুল রহমান জানান, "ঈদের পোশাক কেনা হয়ে গেছে, এবার জুতা কিনলাম পাঞ্জাবির সঙ্গে ম্যাচিং করে পরার জন্য। তবে দাম একটু বেশি লাগছে।"
আরেক ক্রেতা নাজিয়া আক্তার বলেন, "নিজের জন্য এবং ছেলে-মেয়ের জন্য জুতা কিনলাম। কালেকশনে ভিন্নতা থাকলেও দাম বেশি মনে হচ্ছে।"
জুতা ব্যবসায়ী আবেদুর রহমান জানান, "বিক্রি ভালো হচ্ছে, আগের তুলনায় এবার চাহিদা বেশি। চাঁদ রাত পর্যন্ত ক্রেতা আসবে।"
মাংস ব্যবসায়ী সূত্রে জানা গেছে, গরুর মাংস প্রতি কেজি ৭০০ টাকা ও খাসির মাংস ১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি।
শহরের টুপি ও জায়নামাজ বিক্রেতা রাহিমুল ইসলাম জানান, "ঈদ ঘনিয়ে আসায় এসব পণ্যের চাহিদা বেড়েছে। টুপি ৫০ থেকে ৫০০ টাকা, তসবি ৫০ থেকে ২০০ টাকা এবং জায়নামাজ ১০০ থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।"
টুপির নতুন ডিজাইন দেখতে আসা ক্রেতা তসলিম আলী বলেন, "নতুন ডিজাইন ভালো লাগছে, তবে দাম একটু বেশি মনে হচ্ছে।"
বিক্রেতারা বলছেন, শেষ মুহূর্তে ক্রেতাদের ভিড় আরও বাড়বে এবং আজ চাঁদ রাত পর্যন্ত বেচাকেনা চলবে।