শেরপুরের নকলা উপজেলায় আসন্ন ঈদুল ফিতরের নামাজের জন্য ১০১টি ঈদগাহ ময়দান প্রস্তুত করা হয়েছে।
ইসলামী ফাউন্ডেশনের তথ্যানুসারে, এসব ঈদগাহ মাঠকে দৃষ্টিনন্দনভাবে সাজানো হয়েছে এবং ঈদের জামাতের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
উপজেলা ইসলামী ফাউন্ডেশন ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সোমবার (৩১ মার্চ) উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ১০১টি ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। তবে এর আগে, রবিবার (৩০ মার্চ) সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে নকলা পৌরসভার চরকৈয়া গ্রামে সকাল সাড়ে ৮টায় একটি আগাম ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ইসলামী ফাউন্ডেশন নকলা উপজেলার সুপারভাইজার মো. নজরুল ইসলাম জানান, "২০১৮ সালের তথ্য অনুসারে, নকলা পৌরসভায় ১৪টি, গনপদ্দী ইউনিয়নে ১০টি, নকলা ইউনিয়নে ৯টি, উরফা ইউনিয়নে ১৫টি, গৌড়দ্বার ইউনিয়নে ১১টি, বানেশ্বরদী ইউনিয়নে ৫টি, পাঠাকাটা ইউনিয়নে ৮টি, টালকী ইউনিয়নে ১৩টি, চরঅষ্টধর ইউনিয়নে ৮টি ও চন্দ্রকোনা ইউনিয়নে ৮টি ঈদগাহ ময়দান প্রস্তুত করা হয়েছে। এসব ঈদগাহে ঈদের জামাত সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।" এসব ঈদগাহ মাঠের মধ্যে গনপদ্দী ইউনিয়নের চিথলিয়া ঈদগাহ মাঠ উপজেলার মধ্যে সর্ববৃহৎ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপ জন মিত্র নকলাবাসীসহ দেশ ও বিদেশের সকল ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ঈদের আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, "নকলার মানুষ অত্যন্ত শান্তিপ্রিয়। এখানকার সব ধর্মীয় উৎসবে পারস্পরিক সৌহার্দ্য বজায় থাকে। তবুও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিটি ঈদগাহ মাঠে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে, যাতে নির্বিঘ্নে মুসল্লিরা ঈদের নামাজ আদায় করতে পারেন।"
এছাড়া ঈদ জামাত নির্বিঘ্ন করতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সাথে প্রস্তুতি সভা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।