ঢাকা মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ২৫ চৈত্র ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সাতক্ষীরায় বেড়িবাঁধে ভাঙ্গনের ২ দিনেও সংস্কার কাজ শুরু হয়নি

সাতক্ষীরায় বেড়িবাঁধে ভাঙ্গনের ২ দিনেও সংস্কার কাজ শুরু হয়নি

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার খোলপেটুয়া নদীর বিছট পয়েন্টে বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ভঙ্গনের দুইদিন অতিবাহিত হলেও বেড়িবাঁধ সংস্কারের কাজ এখনও শুরু হয়নি।

এই ভাঙ্গনে ১০ গ্রামের অন্তত ২০ হাজার মানুষ প্লাবিত হয়েছে। ভাঙ্গন ঝুকিতে আছে আরও ৩টি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ। ভেসে গেছে ৫ হাজার হেক্টর জমির মৎস্য ঘের। ১ হাজার হেক্টর জমির বোরো ধান। তলিয়ে গেছে বসতবাড়ি। ক্ষতির পরিমান প্রায় ৫০ কোটি টাকার উপরে।

এরইমধ্যে আনুলিয়া ইউনিয়নের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। অনেকে আশ্রয় নিয়েছেন উঁচু বেড়িবাঁধে।

ঈদের দিন (৩১ মার্চ) সোমবার বেলা সাড়ে ৯ টার দিকে আশাশুনি উপজেলার বিছট গ্রামে খোলপেটুয়া নদীর অন্তত দেড়শ ফুট বেড়িবাঁধ ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এতে বিছট, বল্লভপুর, আনুলিয়া, নয়াখালী, চেঁচুয়া, কাকবসিয়া, পারবিছুট, বাসুদেবপুরসহ আশপাশের অন্তত ৮-১০টি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়।

আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুস বলেন, আশাশুনির খোলপেটুয়া নদীর বিছেট পয়েন্টে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধে আকস্মিক ভাবে প্রায় ২০০ ফুট ভেঙে ১০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ভেসে গেছে ৫ হাজার হেক্টর জমির মৎস্য ঘের। পানিতে তলিয়ে গেছে ১ হাজার হেক্টর জমির বোরো ধান।

তিনি আরও বলেন, এতে শতাধিক বসতবাড়ি ডুবে যাওয়ায় কয়েক হাজার মানুষ পড়েছে চরম দূর্ভোগে। ক্ষতির পরিমান প্রায় ৫০ কোটি টাকার উপরে। এদিকে, বেড়িবাঁধ‌ দ্রুত সংস্কার করা না হলে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশংকা করছেন তারা।

আশাশুনি উপজেলার ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) টিম লিডার আব্দুল জলিল বলেন, বিছট মূল যে পয়েন্টে ভেঙেছে, সেটাতে একটি পাইপলাইন ও গেট সিস্টেম ছিল। স্থানীয় প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবীরা কাজ শুরু করলেও এখনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। অনেক পরিবার উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন।

সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রাশেদুল ইসলাম বলেন, ঈদের কারণে দক্ষ শ্রমিক না পাওয়া যাওয়ায় কাজ শুরু করা যাচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, আগামিকাল থেকে কাজ শুরু করতে পারবেন। ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নিয়ে এসেছেন ভাঙ্গন কবলিত এলাকায়।

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোস্তাক আহমেদ বলেন, পরিস্থিতি ভয়াবহ। আমরা যদি দ্রুত ব্যবস্থা নিতে না পারি, তাহলে পরবর্তী জোয়ারে আরও প্রায় আধা কিলোমিটার বাঁধ ভেঙে যেতে পারে।

তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যে সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের দুটি বিভাগকে একত্রে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সাতক্ষীরা,বেড়িবাঁধে ভাঙ্গন,সংস্কার কাজ
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত