দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় তৃতীয়বারের মতো চাষ হচ্ছে সূর্যমুখী ফুল। উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় এ বছর ৩৫ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী তেলবীজের আবাদ হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে ভোজ্যতেলের চাহিদা পূরণে নেওয়া এই উদ্যোগ ইতোমধ্যে কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
বিরামপুর উপজেলার পলিপ্রয়াগপুর ইউনিয়নের কৃষক ডা. তৌফিক এলাহী আনসারী ১১ বিঘা জমিতে আরডিএস-২৭৫ জাতের সূর্যমুখী বীজ রোপণ করেছেন। তিনি জানান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ নিয়ে তিনি এই চাষ শুরু করেন এবং ফলন দেখে তিনি বেশ আশাবাদী।
আরেক কৃষক মনি আরা জানান, তিনি ৫ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেছেন। তার আশা, এ মৌসুমে জমি থেকে প্রায় ২৪ মণ বীজ সংগ্রহ করা যাবে। এছাড়া উপজেলার ফকিরপাড়া, মির্জাপুর, ভগবতীপুর ও চকহরিদাশপুরের আরও অনেক কৃষক গত তিন বছর ধরে সূর্যমুখী চাষ করছেন।
বিরামপুরের মাঠজুড়ে এখন হলুদাভ সৌন্দর্য। সড়কের পাশের বাগানগুলো পথচারীদের দৃষ্টি কাড়ছে। প্রতিদিনই দূর-দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা বাগান দেখতে আসছেন।
বিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফিরোজ আহম্মেদ জানান, অন্যান্য ফসলের তুলনায় সূর্যমুখী চাষে খরচ কম এবং এটি লাভজনক। এ বছর উপজেলার ১৩৫ জন কৃষককে সরকারি বীজ প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে দিওর, জোতবানী, বিনাইল ও খানপুর ইউনিয়নে ব্যাপক সূর্যমুখী চাষ হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, “দেশে ভোজ্যতেলের চাহিদা পূরণে সূর্যমুখী চাষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আমরা কৃষকদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করছি। তারা লাভবান হবেন বলেই আমাদের বিশ্বাস।”