পাবনার ঈশ্বরদীতে সরকারি অফিসের ভবনে বিয়ের আয়োজন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন এক কর্মকর্তা। প্রাণিসম্পদ বিভাগের এক কর্মচারীর মেয়ের গায়ে হলুদ ও বিয়ের অনুষ্ঠান অফিস চত্বরে আয়োজন করায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয়েছে সমালোচনার ঝড়।
সরেজমিনে দেখা যায়, শুক্রবার (৪ এপ্রিল) বিকেলে ঈশ্বরদী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল চত্বর আলোকসজ্জায় সজ্জিত। সেখানে চলছে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অফিস সহায়ক জিল্লুর রহমানের মেয়ের গায়ে হলুদ ও বিয়ের অনুষ্ঠান এই কার্যালয়েই সম্পন্ন হয়।
ঈদের ছুটিতে সরকারি অফিস বন্ধ থাকার সুযোগে এমন আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। যদিও সরকারি স্থাপনায় ব্যক্তিগত অনুষ্ঠান আয়োজন আইনগতভাবে নিষিদ্ধ এবং অফিস কক্ষ পর্যন্ত ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার অনুমতি নিয়েই অনুষ্ঠানটি করা হয়েছে। পরবর্তীতে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোছা. আকলিমা খাতুনের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে অনুষ্ঠান সংশ্লিষ্ট ছবি ছড়িয়ে পড়লে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি করে।
বিষয়টি জানতে অফিস সহায়ক জিল্লুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোছা. আকলিমা খাতুন বলেন, “অফিসের একজন কর্মচারী হিসেবে তাকে অফিস চত্বরের বাহিরের অংশ ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছি। তবে ভেতরের কোনো কক্ষ ব্যবহারের বিষয়টি আমার জানা নেই। বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছি।”
এ প্রসঙ্গে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. একে এস মোশাররফ হোসেন বলেন, “সরকারি অফিস ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহারের কোনো সুযোগ নেই। এটি রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি, শুধুমাত্র জনস্বার্থে ব্যবহার করা যাবে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. তারেক হোসেন বলেন, “সরকারি স্থাপনায় ব্যক্তিগত বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজন কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছ থেকে জানতে কাজ করছি।”
