রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার হরিণবাড়িয়া গ্রামে কিশোর নিরব শেখ (১৭) হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে জেলা পুলিশ। পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার শামিমা পারভীন।
রোববার (৬ এপ্রিল) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান। এ ঘটনায় মো. মিজান (৩২) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত মিজান কালুখালী উপজেলার বাগলপুর গ্রামের টেণ্ডু শেখের ছেলে। নিহত নিরব হরিণবাড়ি গ্রামের মো. জিয়ারুল শেখের ছেলে।
পুলিশ জানায়, গত ২৩ মার্চ পদ্মা নদীর বাগঝাপা সালেপুর অংশ থেকে নিরবের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার কোমরে শিকল ও প্লাস্টিকের বস্তা বাঁধা ছিল। ২০ মার্চ থেকে সে নিখোঁজ ছিল। ওই দিনই নিরবের বাবা কালুখালী থানায় একটি অপহরণ ও হত্যা মামলা করেন।
তদন্তে জানা যায়, নিরবের বাবা জিয়ারুল শেখ চাচাতো ভাই লিয়াকত শেখের সঙ্গে মিলে পদ্মা নদীতে বালু উত্তোলনে যুক্ত ছিলেন। এ নিয়ে অপর চাচাতো ভাই কাইয়ুম শেখের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এই বিরোধের জেরে কাইয়ুম শেখ তার ভাতিজা নিরবকে অপহরণ ও হত্যার পরিকল্পনা করে এবং সহযোগী মিজানকে নিয়ে সেটি বাস্তবায়ন করে।
তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তৎপরতায় মিজানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেয়।
পুলিশ জানিয়েছে, মামলার অন্যান্য পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেবব্রত সরকার, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মফিজুল ইসলাম এবং কালুখালী থানার ওসি জাহেদুর রহমান।