রাজধানীর শাহজাহানপুর থানায় কর্মরত মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. এনামুল কবির ওরফে তোতার বিরুদ্ধে চাঁদা দাবি ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ তুলেছেন শেরপুরের এক ব্যবসায়ী। এ ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার (৯ এপ্রিল) সকালে শেরপুর শহরের সজবরখিলা মোড় এলাকায় নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মেসার্স বিসমিল্লাহ মালয়েশিয়ান ফার্নিচার গ্যালারিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী মো. হারুন-অর-রশীদ খান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলার কেকেরচর গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা এবং বর্তমানে শহরের গৌরীপুর মৈত্রবাড়ি মহল্লায় বসবাসরত এএসআই তোতার সঙ্গে পারিবারিক পরিচয়ের সূত্র ধরে ব্যবসায়িক প্রয়োজনে তার কাছ থেকে ৪ লাখ টাকা সুদে ঋণ নেন। এরপর কয়েক মাস তিনি প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা করে সুদের অর্থ পরিশোধ করে আসেন।
পরবর্তীতে তোতার স্ত্রী শামীমা খাতুন শিল্পী অসুস্থ হয়ে পড়লে ঋণের আসল অর্থ ফেরত দিতে চাপ দেন তারা। ২০২৪ সালের ১৯ অক্টোবর তিনজন স্বাক্ষীর উপস্থিতিতে ৪ লাখ ১০ হাজার টাকা ফেরত দেন বলে দাবি করেন ব্যবসায়ী হারুন।
কিন্তু এরপরও ২০২৫ সালের ৬ এপ্রিল রাত ৯টার দিকে এএসআই তোতা ৩–৪ জন লোক নিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন এবং টাকা না দিলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন। এমনকি তার মাদ্রাসাপড়ুয়া সন্তানকে অপহরণের হুমকিও দেন বলে অভিযোগ করেন হারুন-অর-রশীদ খান।
হুমকি-ধামকির ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগে তিনি ৮ এপ্রিল শেরপুর সিআর আমলী আদালতে এএসআই তোতার বিরুদ্ধে একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন। মামলার নম্বর ৪৪০/২০২৫।
অভিযোগের বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে এএসআই মোঃ এনামুল কবির ওরফে তোতা ব্যবসায়ী মোঃ হারুন অর রশীদ খাঁনের সকল অভিযোগ স্বীকার করেন। এছাড়াও তিনি বলেন, হারুন অর রশীদ খাঁনের সাথে তার কোন আর্থিক লেনদেন হয়নি। লেনদেন হয়েছে তার স্ত্রী মোছাঃ শামীমা খাতুন শিল্পীর সাথে। কিন্তু হারুন রশীদ খাঁন শামীমা খাতুন শিল্পীর কাছ থেকে নেওয়া হাওলাদি কোন টাকা পরিশোধ করেননি। তার সামাজিক সুনাম ও মর্যাদা ক্ষুন্ন করার জন্য হারুন রশীদ খাঁন সংবাদ সম্মেলনে এমন মিথ্যা অভিযোগ করেছেন বলে দাবি করেন তিনি।