ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে বসতবাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার।
বুধবার (৯ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার মগটুলা ইউনিয়নের মধুপুর বাজার সংলগ্ন নালিশি বসতবাড়ির পাশেই এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পক্ষে ঈমান আলী গণমাধ্যমের সামনে তার বক্তব্য তুলে ধরেন। এসময় পরিবারের অন্যান্য সদস্যসহ স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত শনিবার (৫ এপ্রিল) বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে ঈমান আলী বাদী হয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে ৫-৬ জন অজ্ঞাতনামাসহ আরও ১৬ জনকে আসামি করা হয়। অভিযোগে দাবি করা হয়, আসামিদের সাথে ঈমান আলীর দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। ঘটনার দিন সকাল আনুমানিক ৮ ঘটিকায় আসামীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাঁর বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় তাঁরা ঈমান আলীর স্ত্রীকে মারধর করে এবং বাড়িতে লুটপাট চালায়।
মামলার ১ নং আসামি ওসমান গণি বকুল বলেন, "ঈমান আলীর সাথে আমার জমি-জমা নিয়ে বিরোধ রয়েছে তা সত্য। এ নিয়ে ঈমান আলী ২০০৯ সালে কোর্টে মামলা করেন। পরবর্তীতে মামলার রায় আমার পক্ষে আসে। ঈমান আলী আপিল করে। আপিলেও রায় আমার পক্ষে আসে। কিন্তু ঈমান আলী জমি বুঝিয়ে দিতে রাজি হয়নি। বহু সালিশ-দরবার করেও তাঁদের কাছ থেকে জমি নিতে পারিনি। এক পর্যায়ে সে জমি দিবে বলে ৯ লাখ টাকা দাবি করে। তখন আমি জমি বিক্রি করে টাকা জোগাড় করি। কিন্তু হঠাৎ তারা আবার বেঁকে বসে।" মারধর করার বিষয়ে জানতে চাইলে কাউকে মারধর করেননি বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার-ইন-চার্জ ওবায়দুর রহমান বলেন, "ঘটনার দিন পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। পরবর্তীতে ঈমান আলীর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা নেওয়া হয়। ইতোমধ্যে দুইজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।"