বাংলা নববর্ষ বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম প্রধান উৎসব। তবে এবারের রাঙামাটির নববর্ষ উদযাপন পেয়েছে এক নতুন মাত্রা। জেলার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ মারুফ গ্রহণ করেছেন একটি ব্যতিক্রমী ও প্রশংসনীয় উদ্যোগ, যা বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন দৃঢ় করতে অনন্য ভূমিকা রাখছে।
রাঙামাটিতে বসবাসরত বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী—বাঙালি, চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা প্রভৃতি—প্রতিবছরই নিজ নিজ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য নিয়ে নববর্ষ উদযাপন করে থাকে। তবে এবারে জেলা প্রশাসক সকল সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের নিয়ে একাধিক বৈঠকের আয়োজন করেন, যেখানে নববর্ষ উদযাপনকে ঘিরে খোলামেলা আলোচনা হয়।
এই বৈঠকগুলোতে নববর্ষে সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ, নিরাপত্তা, পারস্পরিক সহযোগিতা ও শ্রদ্ধাবোধ বজায় রাখার উপায় নিয়ে মতবিনিময় হয়। ডিসি মারুফ জোর দেন পারস্পরিক শ্রদ্ধা, বোঝাপড়া এবং সম্প্রদায়গত সম্প্রীতি বৃদ্ধির ওপর।
প্রতিটি সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ এই উদ্যোগকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানান। এক প্রতিনিধির কথায়, “ডিসি স্যারের এই উদ্যোগ আমাদের মধ্যে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করবে। এতে নববর্ষ শুধুমাত্র আনন্দের উৎসব নয়, বরং একটি সার্বজনীন মিলনমেলায় পরিণত হবে।”
এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ শুধু রাঙামাটিতে নয়, বরং সারাদেশের জন্যই হতে পারে অনুকরণীয় একটি দৃষ্টান্ত। নববর্ষ যে ভ্রাতৃত্ব, সম্প্রীতি ও সামাজিক বন্ধনের প্রতীক হয়ে উঠতে পারে, রাঙামাটির এ আয়োজন তার উজ্জ্বল উদাহরণ।