ঢাকা মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

জমি বিরোধে অন্তঃসত্ত্বা নারীকে মারধরের অভিযোগ, গর্ভের সন্তানের মৃত্যু

জমি বিরোধে অন্তঃসত্ত্বা নারীকে মারধরের অভিযোগ, গর্ভের সন্তানের মৃত্যু

পটুয়াখালীর দুমকিতে জমিজমা নিয়ে বিরোধে অন্তঃসত্ত্বা নারীকে মারধরের ঘটনায় গর্ভের সন্তানের মৃত্যুর অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। দুমকির শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের মিয়াবাড়ী এলাকায় ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগীর ভাই জামাল মিয়া মৃত্যু সন্তানকে সামনে রেখে ঘটনার বর্ণনায় বলেন, বিরোধপূর্ণ জমি আমরা ৫০ বছর পর্যন্ত ভোগ দখল করে আসছি উক্ত জমির দলিল ও পর্চা আমাদের নামে।স্থানীয় বিপ্লব আকন, বসির আকন ও বশির আকনের স্ত্রী কচি আক্তার মঙ্গলবার উক্ত জমিতে মাটি কাটতে গেলে আমরা বাধা দেই। তখন বসির আকন ও তার স্ত্রী কচি আক্তার আমার ভাইয়ের ছেলে কালামকে মারধর করলে কালামের ৭মাসের অন্তঃসত্তা স্ত্রী রুমা বেগম তার প্রতিবাদ করলে বশির আকনের স্ত্রী কচি আক্তার রুমার পেটে লাথি মারে। লাথির আঘাতে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এবং আলট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে বাচ্চার মৃত্যু হলে বুধবার রাতে সিজারের মাধ্যমে মৃত্যু বাচ্চাকে বের করে আনা হয়। এ ঘটনায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।

প্রত্যক্ষদর্শী রুমা বেগমের জাল আসমা বেগম বলেন, আমার দেবর কালাম মিয়াকে স্থানীয় বসির আকন ও তার স্ত্রী কচি আক্তার মারধর করলে কালামের অন্তঃসত্তা স্ত্রী রুমা বেগম তার প্রতিবাদ করলে বশির আকনের স্ত্রী কচি বেগম তার পেটে লাথি মারলে পেটে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলে সিজারের মাধ্যমে একটি মৃত্যু সন্তানের জন্ম হয়।

রুমার শ্বশুর চান মিয়া কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার ছেলের কোন সন্তান নাই। আল্লাহ আমার পুত্রবধূর পেটে একটি সন্তান দিয়েছিল। সেই সন্তান কে তারা লাথি মেরে মেরে ফেলল।

অভিযুক্ত কচি আক্তারের স্বামী বশির আকন বলেন, ঐদিন এরকম কোন মারামারির ঘটনাই ঘটেনি সম্পূর্ণ বানোয়াট।

দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাকির হোসেন 'আলোকিত বাংলাদেশ’কে বলেন, জমিজমা নিয়ে বিরোধের বিষয়টি আমি জানি কিন্তু মারামারির ঘটনা আমার জানা নেই। ভুক্তভোগীরা মৃত বাচ্চা নিয়ে থানায় গেলেও ওসি বলেন কেউ থানায় আসেনি।

অন্তঃসত্ত্বা,নারী,মারধর
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত