পাবনার ঈশ্বরদীতে অটোরিকশা স্ট্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে যুবদলের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত কয়েকজন আহত হয়েছেন। ভাঙচুর চালানো হয়েছে একটি শ্রমিক ইউনিয়ন নেতার কার্যালয়ও।
শুক্রবার রাতে উপজেলার দাশুড়িয়া গোলচত্বর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। সংঘর্ষ হয় যুবদল নেতা রিপন প্রামানিকের বড় ভাই ও স্থানীয় শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রকু প্রামানিক এবং দাশুড়িয়া ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব বিপুল মোল্লার অনুসারীদের মধ্যে।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে ওই অটোরিকশা স্ট্যান্ডটি রকু প্রামানিকের নিয়ন্ত্রণে ছিল। শুক্রবার বিকেলে বিপুল মোল্লা তার লোকজন নিয়ে স্ট্যান্ডে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। প্রথমে বাকবিতণ্ডা এবং পরে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। একাধিক দফায় চলা এই সংঘর্ষে বিপুল মোল্লাসহ কয়েকজন আহত হন। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
বিপুল মোল্লা অভিযোগ করেন, ‘চাঁদা না দেওয়ায় প্রথমে আমাকে মারধর করে রকু প্রামানিকের লোকজন। পরে দুইজন অটোরিকশা চালককেও মারধর করা হয়। এরপর স্ট্যান্ডে বিশৃঙ্খলা শুরু হয়। তবে কারা রকুর অফিস ভেঙেছে, সেটা আমি জানি না। আমরা তখন হাসপাতালে ছিলাম।’
অন্যদিকে, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রিপন হোসেন বলেন, ‘বিকেলে যাত্রী তোলা নিয়ে সামান্য কথা-কাটাকাটি হয়েছিল। পরে আমি দুই পক্ষকেই মীমাংসার জন্য ডাকি। কিন্তু রাতে বিপুল মোল্লার অনুসারীরা এসে আমার ভাইয়ের অফিস ভাঙচুর করে।’
ঘটনার পর বিপুল মোল্লা ঈশ্বরদী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
ঈশ্বরদী থানার ওসি শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’