ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫, ২৫ বৈশাখ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

নৌ-ডাকাতি রোধে চিলমারীতে জেলা পুলিশের মতবিনিময়

নৌ-ডাকাতি রোধে চিলমারীতে জেলা পুলিশের মতবিনিময়

ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর রুটে একাধিক নৌ-ডাকাতির ঘটনায় যাত্রী ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে নৌ-পুলিশের কার্যক্রম জোরদার ও নৌ-ডাকাতি প্রতিরোধে কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের উদ্যোগে একটি গুরুত্বপূর্ণ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সকালে মোহনগঞ্জ পুলিশ ক্যাম্পের উদ্যোগে চরাঞ্চলে এই সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, পুলিশ কর্মকর্তাসহ সাধারণ জনগণ উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয়রা জানান, সাপ্তাহিক হাটের দিনগুলোতে—সোমবার ও শুক্রবার কামারজানী হাট এবং রবিবার ও বুধবার চিলমারীর জোড়গাছ হাটে—নৌপথে যাত্রী চলাচল বৃদ্ধি পায়। এসব দিনে নৌ-পুলিশের টহল জোরদার করতে হবে। ঢুষমারা থানা ও মোহনগঞ্জ ফাঁড়ি যৌথভাবে টহল পরিচালনা করলে ডাকাতি প্রতিরোধ সম্ভব বলেও মত দেন তারা।

সাবেক মেম্বার আমিনুল ইসলাম মত দেন, নৌ-পুলিশকে দ্রুতগামী স্পিডবোট সরবরাহ করতে হবে, যেন তারা সময়মতো অপরাধ দমন করতে পারে। এছাড়া নিরবচ্ছিন্ন টহলের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উলিপুর সার্কেল) মোজাম্মেল হক, ডিবি ওসি বজলার রহমান, চিলমারী থানার ওসি আব্দুর রহিম, ঢুষমারা থানার ওসি আশরাফুল ইসলাম এবং মোহনগঞ্জ পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ আব্দুর রহিম প্রমুখ।

পুলিশ সূত্র জানায়, হাটে যাওয়া মানুষের উচিত দলবদ্ধভাবে যাতায়াত করা এবং অবশ্যই সন্ধ্যার আগেই নৌপথে ফিরে আসা। ইতোমধ্যে নদীপথে নজরদারির জন্য ড্রোন ক্যামেরা ব্যবহার শুরু করেছে জেলা পুলিশ।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হক বলেন, “নৌ-ডাকাতি রোধে আমরা সর্বাত্মক প্রস্তুত। স্থানীয়দের সহযোগিতা নিয়ে মাদক, জুয়া ও ডাকাতিসহ সব অপরাধ নির্মূলে জেলা পুলিশ কাজ করবে।”

কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুর রহমান জানান, “নদীর নাব্যতা বাড়ার ফলে চরাঞ্চলে বহিরাগত ডাকাতচক্রের তৎপরতা বেড়ে যেতে পারে। তাই সচেতনতা বাড়াতে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়েছে।”


আবা/এসএস

পুলিশ,মতবিনিময়
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত