কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা নিজের কর্ম কৌশল, তার দক্ষতা, প্রজ্ঞা দিয়ে আওয়ামী লীগ ব্যতীত, ২৪’র চেতনায় বিশ্বাসী রাজনৈতিক দল সমূহ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, নাগরিক কমিটি ও সাংবাদিক সমাজ-সহ সর্বস্তরের পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং সাধারণ মানুষকে সাথে নিয়ে এক নিবিড় ঐকতান গড়ে তুলেছেন।
ঐক্যের দৃশ্যমান অর্জন মিলেছে সোমবার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ বাংলা বর্ষ বরণ অনুষ্ঠানে। সব পক্ষকে তিনি এককাতারে আনার সফলতা দেখিয়েছেন। অনৈক্য যেন সৃষ্টি না হয়, সে দিক বিবেচনা করে বৈশাখের মূল অনুষ্ঠানে তিনি একাই সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রেখে অনুষ্ঠান শুরু করেন।
বৈশাখের অনুষ্ঠানটিকে সার্বজনিন করে তুলতে তিনি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন। জাতীয় সঙ্গীত, বৈশাখ কেন্দ্রিক গান এবং নৃত্য পরিবেশনের মাধ্যমে সব পক্ষকে মাতিয়ে রেখেছিলেন। অনুষ্ঠানে সকল আগতদের পান্তাভাত খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছিলেন। সবার সাথে নিজেও পান্তাভাত খেয়েছেন। সুলতানা পার্কের ‘আই লাভ কুড়িগ্রাম’ চত্বরে ২৪'র চেতনার সাথে সামঞ্জস্য রেখে নান্দনিক মঞ্চ এবং প্রধান প্রবেশদ্বারটি দারুণ ভাবে সাজিয়েছিলেন যা সবার কাছেই প্রশংসিত হয়েছে।
তিনি সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দিয়ে নেতৃত্ব দেন বৈশাখের মূল র্যালিতে। ওই র্যালির পেছনে অংশ নেয় অনেক সংগঠন। বৈশাখের সাজে সজ্জিত বর্ণাঢ্য র্যালিটি সুলতানা পার্ক থেকে শুরু হয়ে থানা মোড়, ডিসি ফুড মোড়, সিএন্ডবি মোড়, শাপলা চত্বর, আদর্শ পৌরবাজার, কলেজ মোড় ও বিজয় স্তম্ভের সামন দিয়ে আবারো র্যালিটি চলে আসে সুলতানা পার্কের ‘আই লাভ কুড়িগ্রাম’-এর মূল মঞ্চে। পুরো র্যালিতে জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানার সরব উপস্থিতি সবাইকে বৈশাখি প্রেরণায় উদ্দীপ্ত এবং উজ্জীবিত করে তোলে।
বৈশাখের নানা আয়োজনে টানা আড়াই ঘন্টা স্থায়ী মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি উপস্থিত সকলেই মনোযোগ সহকারে উপভোগ করেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে জেলা প্রশাসক মঞ্চে গিয়ে বৈশাখ কেন্দ্রিক রচনা, চিত্রাঙ্কন ও কবিতা সহ বিভিন্ন ইভেন্টে বিজয়ী শিশুদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
পরে তিনি বিজয় স্তম্ভ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত বৈশাখী মেলা উদ্বোধন করেন ও প্রতিটি স্টল ঘুরে দেখেন। বৈশাখের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান পুরো চার ঘন্টা ব্যাপী চলে। সফল অনুষ্ঠান শেষে জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা মুখে, মনে ও প্রাণে তৃপ্তির হাসি নিয়ে ফিরে যান তার নিজ কার্যালয়ে।