রাজবাড়ীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলিবর্ষণের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১০ নেতাকর্মীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) রাজবাড়ী সদর আমলি আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. তামজিদ আহমেদ এ আদেশ দেন।
কারাগারে পাঠানো নেতাকর্মীরা হলেন, রাজবাড়ী জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ও মিজানপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. আজম আলী মণ্ডল, চন্দনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুর রব, যুবলীগ নেতা মো. গোলাম মালেক রিংকু, আবু বক্কর সিদ্দিক, মো. আবির শেখ, মো. আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, মুহাম্মদ ফিরোজ উদ্দিন, সাম্পা নিয়োগী, কাজী রাফি আহম্মেদ সৌরভ ও মো. মানিক সরদার।
জানা যায়, গত ৩০ আগস্ট রাজবাড়ী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী রাজিব মোল্লা বাদী হয়ে রাজবাড়ী সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলীসহ ১৭০ জনের নাম উল্লেখ করা হয় এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৩০০ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০২৪ সালের ১৮ জুলাই বিকেলে কোটা সংস্কার ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া ছাত্র, শিক্ষক ও অভিভাবকদের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। দেশীয় অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে আন্দোলনকারীদের মারধর, বোমা নিক্ষেপ ও গুলিবর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়। এতে রাজিব মোল্লা, সোনিয়া আক্তার স্মৃতি, নুরুন্নবী, আশিক ইসলাম অভি, মেহেরাব, আলতাফ মাহমুদ সাগর, উৎস সরকার, রিয়াজসহ অনেকে আহত হন।
পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মো. আব্দুর রাজ্জাক জানান, আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন নিয়েছিলেন। তবে জামিনের মেয়াদ শেষে তারা নিম্ন আদালতে হাজির না হওয়ায় আদালতের নির্দেশনা লঙ্ঘিত হয়। পরে আত্মসমর্পণের পর তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে আদালত কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।