মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম (বীর প্রতীক) বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের যে অংশগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেগুলো পূর্ণ সংস্কার করা হবে।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) মুজিবনগর দিবস উপলক্ষ্যে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
ফারুক ই আজম বলেন, মুজিবনগরের ইতিহাস জাতির গর্ব, যা চিরকাল অম্লান থাকবে। ইতিহাস যেন কোনোভাবে বিকৃত না হয়, সেজন্য সকলকে সম্মিলিতভাবে এই দিবস উদযাপন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সরকারই সাংবিধানিকভাবে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করেছে।
ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ে তিনি বলেন, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার বিষয়ে ইতোমধ্যেই আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। যারা যুদ্ধ না করেও মুক্তিযোদ্ধার পরিচয়ে সুবিধা নিচ্ছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, বর্তমানে একাধিক মামলা আদালতে চলমান রয়েছে, সেগুলোর নিষ্পত্তি শেষে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা জানান, মুজিবনগর সরকার মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছে এবং মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের যে অংশগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেগুলো পূর্ণ সংস্কার করা হবে।
এর আগে, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা জাতীয় সংগীতের সুরে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। পরের স্মৃতিসৌধে সর্বপ্রথম পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন তিনি।
এরপরে পর্যায়ক্রমে জামুকা, খুলনা বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার মো. হোসাইন শওকত, জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ, পুলিশ সুপার মাকসুদা আক্তার খানম, মেহেরপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা আনসার কমান্ড্যান্ট, মুজিবনগর উপজেলা প্রশাসন পৃথক পৃথকভাবে পুষ্প মাল্য অর্পণ করেন।
এ সময় মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসরাত জাহান চৌধুরী, খুলনা বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হোসাইন শওকত, মেহেরপুর জেলা প্রশাসক সিফাত মেহেনাজ, পুলিশ সুপার মাকসুদা আক্তার খানম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তরিকুল ইসলাম তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাইরুল ইসলাম, মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ মন্ডল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পরে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা মুজিবনগর কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেন।